জাতীয় নির্বাচনের আগে ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম
সাস নিউজ ডেস্ক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছেন, ওই নিয়োগের অর্ধেক দেওয়া হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে।
রোববার ঢাকায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
গত বছর অগাস্টেও বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা বলেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে এবার তিনি সুনির্দিষ্ট সময়ের কথা বললেন।
বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে এই চিকিৎসকদের নিয়োগ দিয়ে গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে তাদের পদায়ন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
জনবল ঘাটতিকে স্বাস্থ্য খাতের প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, “আমরা যদি ১০ হাজার চিকিৎসক পদায়ন করতে পারি তাহলে গ্রামে ডাক্তারের আর অভাব হবে না।”
গ্রামে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আগেও এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি সরকার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর চার হাজারের বেশি চিকিৎসককে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২০১৪ সালে আরও প্রায় ছয় হাজার চিকিৎসক নিয়োগ হয় পিএসসির মাধ্যমে।
চিকিৎসকদের পদায়নের ক্ষেত্রে নিজের উপজেলাসহ তাদের পছন্দের জায়গা বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপরেও চিকিৎসকরা তাদের হাসপাতালে থাকেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের উচ্চতর স্বাস্থ্য শিক্ষা-সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসতে হবে দুই বছর পর পোস্ট-গ্রাজুয়েট ট্রেইনিং ও ডিগ্রির জন্য।
“নবনিযুক্ত চিকিৎসকদের ওই সব জায়গায় যেতে হবে।”
নতুন ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেছেন, “আমাদের ২০ হাজার চিকিৎসক দরকার। তাদের সবাইকে আমরা একসঙ্গে নিতে পারব না। আমরা ধাপে ধাপে নিচ্ছি।”
তবে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে একজন সরকারি চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “বিশেষ ব্যবস্থায় আপনি এক বছরে যখন এত বেশি সংখ্যক চিকিৎসক নেবেন তখন আগামী কয়েকটি ব্যাচ বঞ্চিত হবে।”
তিনি বলেন, “আপনি এক বছরে ১০ হাজার জনকে নিয়োগ দিলে মানসম্পন্ন চিকিৎসক নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারবেন না। এটা অনেক বড় সংখ্যা।
“আমাদের অনেক বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আছে এবং ওই সব চিকিৎসকরা সহজেই এই পেশায় ঢুকে যাবে। কারণ কার্যত সেখানে কোনো প্রতিযোগিতা থাকবে না।”
মানসম্পন্ন চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বছরে ৫০০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বর্তমানে দেশের ৩১টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ৩ হাজার ৩১৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। আর ৬৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন সাড়ে ছয় হাজার জিন।
হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য সচিব হাবিবুর রহমান খান, বিএমএ মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, বিএইচআরএফ সভাপতি তৌফিক মারুফ ও সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানকিন বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন