জমে উঠেছে লিচু বাজার
দিনাজপুর সংবাদদাতা: জমে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ দিনাজপুরের লিচু বাজার। ইতোমধ্যে বাজারে বোম্বাই, বেদেনা, চায়না থ্রি, কাঁঠালী, হাড়িয়াসহ বিভিন্ন প্রকারের লিচু উঠেছে। তারপরও বিগত বছরগুলোর মতো লোকসানের কথা বলছেন চাষি, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সরকারী নানা বিধি-নিষেধে বাজারে ক্রেতা সমাগম কম। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সেভাবে ব্যবসায়ীরা আসেনি। আবার দেশের বিভিন্ন স্থানে লিচুর চালান গেলেও টাকা আসছে না।
সদর উপজেলার মাসিমপুর এলাকার তৌহিদুর রহমান বলেন, বেদেনা জাতের লিচু ৬-৭ হাজার টাকা হাজার দরে বিক্রি হয়। কিন্তু গত দু’বারে রমজানের সময় লিচু বাজারে ওঠায় লোকসান গুনতে হয়েছে। এবারে আশা ছিল ভালো দাম পাবো। কিন্তু করোনার কারণে এবারও দাম কম। তবে এবারে ফলন ভালো হয়েছে। ফলে লোকসান তেমনটা হবে না।
সদর উপজেলার কৃষাণবাজার এলাকার বাগান মালিক জিল্লুর রহমান বলেন, এবারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় বেশি দামে বাগান কিনেছিলাম। কিন্তু বাজারের এখন যে অবস্থা তাতে করে লাভের আশা করা যাবে না। এরপরেও লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় বাজারে বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে।
লিচু ব্যবসায়ী সিরাজউদ্দিন বলেন, এবারে পরিবহন ভাড়াও বেশি। আবার লিচুর চাহিদাও কম। আমরা যদি ঠিকভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে লিচু পাঠিয়ে বিক্রি করতে পারতাম তাহলে বেশি দামে ক্রয় করতাম। তাতে করে কৃষকরাও লাভবান হতো। আমরাও লাভবান হতাম। কিন্তু আমরা দাম ভালো না পাওয়ায় অনেকেই লিচু কেনা কমিয়ে দিয়েছে। তবে লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় কয়েকদিনের তুলনায় লিচুর দাম কিছুটা বেড়েছে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তৌহিদুল ইকবাল বলেন, এবারে লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের লাভের কথা ভেবেই লিচুর বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে। তাছাড়া লকডাউন শিথিল হওয়ায় লিচুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। লিচু পরিবহনে যাতে করে কোনও ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে চাষি, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা লিচুতে লাভবান হবেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন