চীনের স্টেলথ বিমান নিয়ে ভারতের শঙ্কা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েকশ মাইল ভেতরে দুটো জে-২০ পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ জঙ্গি বিমান মোতায়েন করে চীন ভারতকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এই বিমানের অভিযানের উদ্দেশ্য এবং দুই দেশের সম্ভাব্য শক্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা নিয়ে মিডিয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াংয়ের উইঘুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের হোতান বিমানবন্দরে দুটো জে-২০ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সীমান্ত থেকে ৩০০ কিলোমিটার ভেতরে এটা মোতায়েন করা হয়েছে বলে চীনের সরকার ঘনিষ্ঠ গ্লোবাল টাইমসকে উদ্ধৃত করে ফোর্বস এ তথ্য জানিয়েছে।
গ্লোবাল টাইমস চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞের উদ্ধৃতি দিয়েছে, যারা বলেছেন, “এই বিমানের উপস্থিতি নিয়ে বিদেশী মিডিয়াগুলোর খামাখা গুঞ্জন সৃষ্টির কারণ নেই, কারণ এটা দূরপাল্লার ফ্লাইটের জন্য এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য সাধারণ প্রশিক্ষণের অংশ মাত্র”।
জে-২০ বিমানের উপস্থিতি এখন পর্যন্ত সীমান্ত অঞ্চলের জন্য কোন হুমকি সৃষ্টি করেছে বলে জানা যায়নি। উদ্বেগের কারণ হলো এই এলাকায় প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক স্টেলথ প্রযুক্তির এই বিমান মোতায়েন করা হলো। পত্রিকাটিতে যদিও বলা হয়েছে যে, ভারতও সীমান্তে সু-৩০ এবং মিগ-২৯ মোতায়েন করেছে, কিন্তু সেগুলো পঞ্চম প্রজন্মের বিমান নয় এবং জে-২০ বিমানের মতো অত্যাধুনিক স্টেলথ প্রযুক্তি ওই বিমানগুলোতে নেই।
এটা জানার উপায় নেই যে, চীনা জে-২০ বিমানগুলো সু-৩০ এবং মিগ-২৯ বিমানের রাডারকে সুনির্দিষ্টভাবে এড়িয়ে যেতে পারবে কি না। কিন্তু এই বিমানগুলো শুধুমাত্র উপস্থিত থাকাই ভারতের যে কোন বিমান সংঘর্ষ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। কারণ, এগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করার আগেই সেগুলো আঘাত হেনে বসতে পারে।
জে-২০ নিঃসন্দেহে ভারতের মধ্যে সম্ভাব্য অভিযানের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। কারণ এই বিমানগুলোর আক্রমণের শক্তি এবং আকাশে হুমকি মোকাবেলার শক্তি অনেক বেশি।
অনেকে যদিও জে-২০ বিমানকে এফ-৩৫ বা এফ-২২ বিমানের অনুকরণ হিসেবে মনে করে। তবে এটা মোটেই স্পষ্ট নয় যে, চীনা পঞ্চম প্রজন্মের এই বিমানে এফ-৩৫ বিমানের মতো একই ধরণের অস্ত্র, সেন্সর, সিস্টেম ও কম্পিউটার অটোমেশান প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে কি না।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন