চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ২০০৮ সালের বিধিমালা বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্টরা কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসাথে আগামী ১২ আগস্ট পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারক জেবিএম হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এর আগে গত ১৪ জুলাই হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি করেন ড. আনিকা আলী এবং ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয় আদালত।
রিট আবেদনে চিকিৎসা বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ গঠন, চিকিৎসা বর্জ্য পৃথকীকরণ, প্যাকেটজাতকরণ, পরিবহন ও মজুদ, চিকিৎসা বর্জ্য বিনষ্টকরণ এলাকা নির্ধারণ এবং সংশ্লিষ্ট মানদ- অনুযায়ী চিকিৎসা বর্জ্য পরিশোধন, বিশোধন, অপসারণ এবং ভস্মীকরণ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। রিটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগীয় মহাপরিচালক এবং সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়।
শুনানিতে ব্যারিস্টার পল্লব বলেন, প্রতিদিন সারা দেশে কেবল ঢাকা শহরের বাইরে ২০ টনেরও বেশি চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি হয় এবং ঢাকাসহ সারাদেশে চিকিৎসা বর্জ্য উৎপাদনকারী হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি হলেও পরিবেশ আইন এবং চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিধিমালা অনুযায়ী সন্তোষজনক কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
ফলশ্রুতিতে দেশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন