‘চাষি বাজার’ স্থানান্তর, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
বগুড়া সংবাদদাতা: বগুড়া শহরে মাছের পাইকারি আড়ত ‘চাষি বাজার’ স্থানান্তর করা হয়েছে। কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই বাজারটি কয়েক কিলোমিটার দূরে শহরের চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট।
চাষি বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ও আড়ৎদারেরা অভিযোগ করেছেন, নীতিমালা লংঘন করে ইজারাদার ও একজন আড়ৎদারকে আর্থিক সুবিধা দিতে প্রশাসন এমন করেছে। বিষয়টি নিয়ে আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করা হয়নি। ফলে চাষি বাজারের বেশির ভাগ আড়ৎদার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
চাষি বাজারের এক আড়ৎদার জানায়, শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত চাষি বাজারে ১৭টি মাছের আড়ত আছে। এসব আড়তে প্রতিদিন হাজার হাজার ব্যবসায়ী ও কর্মচারির আনাগোনা এই আড়ৎদার বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করে পাশ্ববর্তী কোনো জায়গায় মাছের আড়ত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্ত হঠাৎই চাষি বাজার স্থানান্তর করা হলো।
চাষি বাজারের কয়েকজন আড়ৎদার বলেন, চাষি বাজারে প্রতিদিন ভোরে কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় হয়। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে মাছ বিক্রি করতে আসেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
চাষিবাজার মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় ‘চাষি বাজার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। মাছ-সবজিসহ উৎপাদক পর্যায়ে চাষিরা সরাসরি যাতে ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারেন, এ জন্য এই বাজারের যাত্রা। শহরের চেলোপাড়ায় করতোয়া নদীর তীরে রেলওয়ের জায়গায় এই বাজার। শুরুতে শাক-সবজি বিক্রি করা হলেও ধীরে ধীরে এটি মাছের পাইকারি বাজারে পরিণত হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫০ ট্রাক মাছ কেনা-বেচা হয় এখানে। চাষি বাজার ইজারা দিয়ে পৌরসভা বিপুল রাজস্ব আয় করছে। অথচ করোনার সাময়িক সমস্যার সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে বাজারটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন