চট্টগ্রামের ওলী-আউলিয়া, হক্কানী ওলী-মুর্শিদ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদককে আইনী নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তকে চট্টগ্রামের আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশটি চট্টগ্রামে বিশিষ্ট নাগরিক মুহম্মদ আলী হায়দার সাহেবের পক্ষ থেকে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট মাসুদুজ্জামান সাহে এই আইনী নোটিশটি প্রেরণ করেন।
নোটিশ থেকে জানা যায়, গত ৩ জুন ২০২০ তারিখে দৈনিক ভোরের কাগজে প্রকাশিত “চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তা করার কি কেউ নেই?” শীর্ষক একটি মন্তব্য-প্রতিবেদনে চট্টগ্রামকে একটি মৌলবাদী, ধর্মীয় গোঁড়া ও উগ্রবাদী চিন্তার চর্চার কেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করে লেখা প্রকাশ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, চট্টগ্রাম সম্বন্ধে এ ধরণের মূল্যায়ন বাস্তবতাবর্জিত ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ। চট্টগ্রামকে এভাবে উপস্থাপন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য- যা চট্টগ্রামবাসীদের জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর। চট্টগ্রাম কিভাবে তথাকথিত “একটি মৌলবাদী, ধর্মীয় গোঁড়া ও উগ্রবাদী চিন্তার চর্চার কেন্দ্র” কিংবা চট্টগ্রাম কিভাবে “একটি সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় হানাহানির কদর্য চেহারা”-র শহর, সেটার কোনো তথ্য-উপাত্ত বা ব্যাখ্যাও এই মন্তব্য-প্রতিবেদনটিতে পাওয়া যায় না।
নোটিশে আরও বলা হয়, পীর-আউলিয়ার প্রতি ভক্তি-সম্মান, পীর-মুরিদের পারস্পরিক ভালোবাসা-স্নেহ-ভক্তি এগুলো সবই চট্টগ্রামের গৌরবময় সংস্কৃতির অংশ। তাই চট্টগ্রামবাসীর আউলিয়া-ভক্তি নিয়ে মন্তব্য এবং চট্টগ্রামকে “সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় হানাহানির কদর্য চেহারা”-র শহর হিসেবে উপস্থাপন- উভয়টিই সম্পূর্ণ বাস্তবতাবর্জিত, বিদ্বেষপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য।
নোটিশে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে বাংলাদেশের কোনো শ্রেণির দ্বীনি মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করা বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য। আপনার উল্লেখিত মন্তব্যসমূহ বাংলাদেশ দ-বিধির ২৯৫(ক) ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ধারার লঙ্ঘন।
এমতাবস্থায় এই নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে এ ধরণের মন্তব্যসমূহ প্রত্যাহার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন