‘ঘরে চাল-ডাল থাকলে রাস্তায় নামতাম না’
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার ঘরে থাকতে কইছে। কিন্তু কী করবো বাপরে, পেটকে তো আর ফাঁকি দেয়া যায় না। তাই বিপদ জেনেও রাস্তায় নেমেছি পেটের ক্ষুধা মেটানোর আশায়।
তবে এখানেও বিপত্তি, তেমন ইনকাম নেই। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আয় হয়েছে মাত্র ৮০ টাকা। এর মধ্যে জমা দিতে হবে ৫০ টাকা। আতঙ্কিত চোখে কথাগুলো বলছিলেন রংপুর থেকে ঢাকায় আসা বয়োবৃদ্ধ রিকশাচালক আমিনুর। এসব মানুষ গ্রামে কোনো কাজ না পেয়ে পরিবারের জন্য খাদ্য জোগাতে ঢাকায় ছুটে আসেন। রাজধানীতেও তাদের জন্য কাজের তেমন সুযোগ নেই। নিরুপায় হয়ে রিকশা চালাতে হয়।
বয়সের ভারে যেখানে নিজেরই চলতে কষ্ট, সেখানে কায়িকশ্রমের কাজটি করতে হয় সংসারের চাকা সচল রাখার তাগিদে।
তিনি বলেন, আমার চার ছেলে-মেয়ে। দুই মেয়ে, এক ছেলের বিয়ে দিয়েছি। ছোট ছেলে সপ্তম শ্রেডুতে পড়ে। বড় ছেলে গ্রামে অটো চালাতো। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সেও বেকার। পরিবারে দেখা দিয়েছে অর্থসঙ্কট। বাড়ি থেকে বারবার ফোন দিচ্ছে টাকার জন্য। সেখানে আমার খাবার জুটছে না, সেখানে তাদের জন্য কী করে টাকা পাঠাই।
টানা ছুটির কারণে রাজধানী প্রায় ফাঁকা। এর মধ্যেও যে কজন রিকশাওয়ালা রাস্তায় নেমেছেন তারাও হতাশ। সচল ঢাকায় দিনে আয় করতেন হাজার থেকে ১২শ টাকা, সেখানে এখন মাত্র এক থেকে দেড়শ টাকা আয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি জানান, সরকারের সব আদেশ মানার চেষ্টা করছি। বিশ্বাস করেন, ঘরে চাল-ডাল থাকলে রাস্তায় নামতাম না।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন