গির্জাগুলোতে ভয়াবহ রকম বৃদ্ধি পেয়েছে শ্লীলতাহানির ঘটনা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গির্জাগুলোতে অবাধ যৌন নির্যাতন বন্ধে চার্চের ব্যর্থতার দায় নিয়ে পোপের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে জার্মানির সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক যাজকদের একজন মিউনিখের কার্ডিনাল রাইনহার্ড মার্ক্স। পদত্যাগপত্রে সে জানিয়েছে, গির্জার সদস্যদের সংঘটিত যৌন নির্যাতনে নিজের ব্যর্থতার দায়টুকু সে নিতে চায়। রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে
পোপ ফ্রান্সিসের কাছে দেয়া চিঠিতে মার্ক্স জানিয়েছে, সে মিউনিখ এবং ফ্রাইসিং এর আর্চবিশপের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছে। গির্জা এখন একটি ‘কানা গলিতে’ পৌঁছে গেছে বলেও মনে করে সে।
জার্মান কার্ডিনাল রেইনহার্ড মার্কস বলেছে, “ক্যাথলিক চার্চ একটি ‘ডেড পয়েন্ট’-এ পৌঁছেছে। আমি আশা করি, এমন পদত্যাগ থেকে নতুন কোনো পরিবর্তনের যাত্রা শুরু হতে পারে।’’
নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে পোপ ফ্রান্সিসকে দেওয়া চিঠিতে মার্ক্স লিখেছে, ‘গত কয়েক দশক ধরে গির্জার কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় যে ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে, আমি তার দায় এড়াতে পারি না। তাই পদ থেকে সরে গিয়ে আমিও এর দায়ভার কাদে তুলে নিলাম।’
মার্ক্স জানায়, গত ১০ বছরের বিভিন্ন তদন্ত ও প্রতিবেদন দেখে এটা তার কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে- ক্যথলিক চার্চে কেবল ‘ব্যক্তিগত এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা’ নয় বরং ‘প্রাতিষ্ঠানিক ও পরিচালনাগত’ দুর্বলতাও রয়েছে।
এর আগেও গির্জার কর্মকর্তাদের যৌন নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ করেছিলো রাইনহার্ড মার্ক্স।
মার্কসের নেতৃত্বে জার্মান বিশপস কনফারেন্সের গঠিত কমিশনের ২০১৮ সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৪৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ১৬৭০ ধর্মযাজক যৌন আক্রমণ চালিয়েছে ৩৬৭৭ জন শিশুর ওপর, যাদের বেশির ভাগই ছেলেশিশু। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন