‘খাসোগি হত্যার রায় ‘বিচারের নামে প্রহসন’- জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকা-ের ঘটনায় মৃত্যুদ- ও যাবজ্জীবন কারাদা-প্রাপ্ত আসামিদের সাজা কমিয়ে মাত্র ৭-২০ বছরের কারাদ- দিয়েছে সউদি আরবের উচ্চ আদলত। সোমবার আসামিদের সাজা কমিয়ে এই চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয়। এদিকে আদালতের এ রায়কে ‘বিচারের নামে প্রহসন’ বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ।
সোমবার আদালতে রায় ঘোষণার পর এক টুইট বার্তায় এ মন্তব্য করে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। ক্যালামার্ড হত্যাকা-ের তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করার দায়িত্ব পেয়েছিল।
টুইট বার্তায় ক্যালামার্ড বলেছে, সউদির আদালত জামাল খাসোগি হত্যার বিচার যে প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করছে, তা ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও স্বচ্ছতার পরিপন্থী। আদালতের রায়ে দ-প্রাপ্তদের নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি এ হত্যাকা-ের পেছনে সউদি যুবরাজ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া খাসোগির পরিবার ঠিক কী কারণে হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছে, সেটিও পরিষ্কার নয়।
আদালতের এ রায়কে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছে জামাল খাসোগির বাগদত্তা খাদিজা চেঙ্গিসও।
এ ঘটনার পর তুর্কি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্তে নামে। দেশটির সরকার এটি নিশ্চিত করে যে খাসোগিকে দূতাবাসের ভেতর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন করে তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, সউদি যুবরাজের নির্দেশেই এ হত্যাকা- সংগঠিত হয়েছিলো।
জামাল খাসোগি হত্যাকা-ের পর এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব পায় রজাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। ক্যালামার্ড এ হত্যাকা-কে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-’ অভিহিত করে গত বছর জুন মাসে তার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। পাশাপাশি ক্যালামার্ড প্রতিবেদনে সউদি যুবরাজের এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছিল।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন