সাস নিউজ: রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর হাইকোর্টে খালেদা আপিল করে জামিনের আবেদন করবেন। তাতে তিনি কারামুক্ত হবেন বলে আশায় আছে বিএনপি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারী এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে ৫ বছর কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান। তিনি সেদিন ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়েছিলেন।
এরপর বিএনপির আইনজীবীরা রায়ের অনুলিপি পেতে আবেদন করেন আইনজীবীরা। তা না পাওয়া পাওয়ায় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখতেই রায়ের অনুলিপি দিতে দেরি করা হচ্ছে।
খালেদার অন্যতম আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ সোমবার বলেছিলেন, রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি নেওয়ার জন্য তিন হাজার পৃষ্ঠার স্ট্যাম্প ফোলিও পেপার বিচারক আখতারুজ্জামানের পেশকার মোকাররম হোসেনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ওই কাগজেই রায়ের সত্যায়িত কপি লেখা হবে।
খালেদার আরেক আইনজীবী ও বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, “আজ বিকাল ৪টায় আমরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাব। কপি হাতে পেলেই আপিল আবেদন জমা দেব।”
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পুরান ঢাকার আদালতপাড়ায় প্রতীকী অনশন করছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শতাধিক আইনজীবী।
পুরনো জেলা জজ আদালত ভবন ও মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের মাঝখানের চত্বরে প্রতীকী অনশনে থাকার সময়ই রায়ের কপি পাওয়ার আশাবাদের কথা জানান সানাউল্লাহ মিয়া।
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় জামিন হলে খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বাধা না থাকলেও তাকে অন্য কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখালে সেই পথ আটকে যাবে।
দুর্নীতি মামলার রায়ের আগে আদালতের পথে খালেদা জিয়া; রায়ের পর তিনি আছেন এখন কারাগারে দুর্নীতি মামলার রায়ের আগে আদালতের পথে খালেদা জিয়া; রায়ের পর তিনি আছেন এখন কারাগারে
খালেদাকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারামুক্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে বিএনপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মঙ্গলবার বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে অন্য কোনো মামিলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তিনি শুধু জিয়া এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় বন্দি আছেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একথা বলার পরদিন ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মানহানির এক মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছেন বাদী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের কাছে এ আবেদন দাখিল করে আওয়ামী লীগের এই সমর্থক বলেন, “এই মামলায় অনেক আগেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে, যা কার্যকর করা বা তামিলের অপেক্ষায় ছিল।
“তিনি যেহেতু অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন তাই এই মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্টের আবেদন করেছি। শুনানি নিয়ে বিচারক পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।”
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন