কয়েকগুণ বেশি খরচ করে ফিরছে মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। এদিন থেকে সীমিত পরিসরে চলবে গণপরিবহন। শেষ সময়ে কর্মস্থলে ফিরতে শনিবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল দেখা গেছে। প্রায় প্রতিটি ফেরি থেকেই শত শত যাত্রী নামে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অবর্ণনীয় কষ্ট করে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
শনিবার শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ি থেকে ফেরি আসতে দেখা গেছে। এই নৌরুটে সকাল থেকেই ১৪টি ফেরি চলাচল করে। শিমুলিয়া ঘাটে আসার পর গণপরিবহন বন্ধ দেখে কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় মিশুক, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে যাত্রীরা গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া ঘাটে চাপ না থাকলেও কাঠাঁলবাড়ী ঘাটে চাপ রয়েছে। ঈদ শেষে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ কর্মস্থলে ছুঁটে যাচ্ছে।
মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর জানান, এসব যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছোট ছোট যানবাহনে চড়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটে গেছেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এসব যাত্রীরা কয়েকগুন বেশি ভাড়ায় মিশুক, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মটরসাইকেলে করে নিজ নিজ গন্তব্যে গেছেন।
পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নৌপথে ফেরিতে কর্মস্থলমুখী মানুষের ঢল। কুষ্টিয়া থেকে ঢাকামুখী যাত্রী আব্দুল মোন্নাফ বলেন, সংসার চালানোর তাগিদে ক কর্মস্থলে ফিরছি। সকালে অফিসে পৌঁছাতেই হবে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসা পোশাক শ্রমিক মামুন মিয়া বলেন, ‘ফরিদপুর থেকে সিএনজিতে দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে ৫০০ টাকা খরচ হয়। আবার এখন পাটুরিয়া থেকে নবীনগর যেতে মাইক্রোবাসে ৫০০ টাকা ভাড়া চাচ্ছে। এমনিতেই বাড়ি গিয়ে টাকা পয়সা শেষ। এরপর এখন কর্মস্থলে ফিরতে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এ তো মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন