ক্রেতা কম, তবু বাড়ছে সবজির দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক: রোজার আগে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে বিভিন্ন সবজির দাম। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজের পর সবজির দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় গত সপ্তাহে ২০-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম বেড়ে হয়েছে ৩০-৪০ টাকা। ২০ টাকায় বিক্রি হওয়া শসার দাম বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে ৩০-৪০ টাকা।
গত কয়েক সপ্তাহের মতো এখনো বাজারে সব থেকে দামি সবজি সজনে ডাটা। বাজার ভেদে সজনের ডাটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে কোথাও কোথাও ৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছিল। দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটোও। গত সপ্তাহে ১০-১৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো এখন ২০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আড়তেও সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে গাজারসহ কিছু সবজির দাম বেড়েছে।
বাজারে আসা এক রিকশাচালক বলেন, যা আয় হয় তা দিয়েই কোনো রকমে সংসার চালানোর চেষ্টা করি। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজের যে দাম তাতে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো সন্ধ্যা না খেয়ে থাকতে হয়। বাজারে এসে দেখি সবজির দাম বেড়েছে। এতে আমাদের কষ্ট আরও বাড়বে।
অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর সাথেই বেড়েছে বয়লার ও দেশি মুরগির দামও। তবে মাছ ও গোশতের দাম স্থির রয়েছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজের পর সবজির দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মুনুষের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
মুরগির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে রামপুরা মোল্লাবাড়ির ব্যবসায়ী ফিরোজ বলেন, রোজার কারণে বয়লার মুরগির চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। এ কারণেই মনে হয় দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদের ধারণা সপ্তাহখানেক পরে বয়লার মুরগির দাম আবার কিছুটা কমে যাবে।
বেসরকারি এক কোম্পানিতে চাকরি করা রামপুরার বাসিন্দা জুয়েল বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। এভাবে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়লে আমরা চলবো কিভাবে? ছুটির আগেই অফিস মার্চ মাসের বেতন দিয়ে দেয়। কিন্তু এপ্রিলের বেতন এখনো পায়নি। কবে পাবো তারও কোনো ঠিক নেই। অফিস কবে খুলবে তা বলা যাচ্ছে না। হাতে যে টাকা ছিল, তা প্রায় শেষ। এভাবে চললে কিছুদিন পর না খেয়ে থাকতে হবে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন