কম বেতন দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি
নিউজ ডেস্ক : টিআইবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কর অঞ্চল-১১-তে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন সাড়ে ৯ হাজার বিদেশি, যাদের বার্ষিক আয় ৬০৩ কোটি টাকা। যাতে মোট কর পাওয়া গেছে ১৮১ কোটি টাকা। তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত বিদেশিদের আয়ের হিসাব তুলে ধরে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ খাতের একটি প্রতিষ্ঠানের বিদেশি প্রধান নির্বাহীর মাসিক বেতন ১০ থেকে ১২ হাজার মার্কিন ডলার। কিন্তু দেখানো হয়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ডলার।
আর একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতন ৩-৬ হাজার ডলার হলেও দেখানো হয় ১-২ হাজার ডলার।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এখানে পরিষ্কারভাবে একটি যোগসাজশ। আয় যা তা দেখাতে হলে রিটার্নে দেখাতে হবে- এটা নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান যেমন চায় না, তেমনি কর্মী চায় না। ফাঁকি দেওয়া সম্ভব বলে তারা এটি করছে। এই অবৈধ কাজ চলছে। এটা সম্পর্কে সরকারের বিভিন্ন মহলে বিক্ষিপ্ত ধারণা ছিল। তাদের কাছে সেভাবে তথ্য নেই।
টিআইবি বলছে, বাংলাদেশে বৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম পেয়েছে টিআইবি। নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদে যোগ্য দেশি কর্মী খোঁজা হয় না এবং বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ম রক্ষার তাগিদে আনুষ্ঠানিকভাবে সারা হয়।
এসব কর্মী নিয়োগে ভিসার সুপারিশপত্রে জন্য ৫-৭ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনে হয়। বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে ভিসা নিতে ৪ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা, কাজের অনুমতি নিতে ৫-৭ হাজার টাকা, পুলিশের বিশেষ শাখার ছাড়পত্র পেতে ৫-৭ হাজার টাকা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) ছাড়পত্রের জন্য ৩-৫ হাজার টাকা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়ের জন্য ২-৩ হাজার টাকা এবং ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ৩-৫ হাজার টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে দিতে হয়।
এসব নিয়মবহির্ভূত অর্থ লেনদেনে একটি শ্রেণি লাভবান হচ্ছে জানিয়ে টিআইবি মনে করছে, এজন্য এ খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন