‘উপকূলীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের জীবন’
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুরসহ উপকূলীয় বাসিন্দাদের জীবন চলে অতি কষ্টে। নানা দুর্ভোগের সঙ্গে তাদের বসবাস। প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ নিয়েই তারা অতিকষ্টে জীবনযাপন করছে।
বিহঙ্গদ্বীপ সংলগ্ন শুঁটকি পল্লির এক শ্রমিক বলেন, এতো কষ্ট করি, মোরা সরকারি সহযোগিতাও পাই না, মেম্বর-চেয়ারম্যানরা সব খাইয়া ফালায়। মোগো দেখার কেউ নাই। পোলাডারে লইয়া কোনো রহম দিন কাটাই।’
সুন্দরবন ঘেঁষা বলেশ্বর নদ, তার পাশেই উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটা। বলেশ্বর, বিষখালী নদী আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মাঝখানেই পাথরঘাটা উপজেলা। এখানকার অধিকাংশ মানুষ খেটে খাওয়া দিনমজুর এবং মৎস্য পেশার ওপর নির্ভরশীল। উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটার মানুষ সব সময়ই দুর্ভোগের সঙ্গে আলিঙ্গন করেই বসবাস করে।
পাথরঘাটা উপজেলার সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের বিহঙ্গদ্বীপ সংলগ্ন রুহিতা গ্রাম। যেখানের বাসিন্দাদের কাজ মাছ শিকার, মাছ বাছাই ও শুঁটকি তৈরি করা। এসব কাজ করেই চলে তাদের জীবন-জীবিকা। এখানকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কখনো নদীর পাড়ে ছোট জাল দিয়ে মাছ ধরা, আবার কখনো মাছ শুকানো থেকে শুরু করে মাছ বাছাই করছেন। তবে এসব ক্ষেত্রে আজও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে ২শ টাকা পাচ্ছেন। তিনি বলেন ‘২২ বছর ধইর্যা কাজ করি। শুঁটকির সিজনে মাছ বাইছ্যা পাই ২০০ টাকা। কাঁচা মাছ বাইছ্যাও পাই ১ থেকে ১৫০ টাকা। হেইয়্যা দিয়া পোলাডারে লইয়া খাই।’
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন