ই-কমার্স খাতে মাসে ক্ষতি ৬৬৬ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক: লকডাউনের প্রভাবে ই-কমার্স খাতে প্রতিমাসে ক্ষতির পরিমাণ ৬৬৬ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। বুধবার অনলাইনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
সম্মেলনে ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক আব্দুল হক ই-কমার্স খাতের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাব যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
প্রতিবেদনে আব্দুল হক অনু বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে দেশে লকডাউন অবস্থা বিরাজ করেছে। তাই ই-কমার্স খাতের প্রায় ৯০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাজার ৮ হাজার কোটি টাকার। এ সেক্টরে কাজ করছে ১ লাখ ২৫ হাজার কর্মী। ই-ক্যাবের মোট মেম্বার ১ হাজার ১০০ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপিতে ই-কমার্সের অবদান দশমিক দুই শতাংশ। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ৮০ হাজার পরিবার ই-কমার্সের থেকে সেবা নিয়ে থাকেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মোট ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিত্যপণ্য ও ওষুধ সরবরাহ করেছে।
স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় ই-কমার্স খাতে প্রতিমাসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৬৬৬ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, আমাদের ই-কমার্স খাতে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। তবে প্রায় ৯০ শতাংশ ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি।
তিনি বলেন, এখন ই-কমার্স খাতে আলাদা খাত ঘোষণা করার সময় এসেছে। কারণ আমরা ব্যাংকঋণ নিতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে। আমরা যদি প্রণোদনা নাও পাই তারপরও আমরা আগামী কয়েক বছরের জন্য করপোরেট ট্যাক্স মওকুফ চাই। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে ২ শতাংশ সুদে ১ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ব্যাংকঋণ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশে ই-বাণিজ্য প্রসারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। দেশে ই-কমার্সের প্রসার ঘটানো প্রয়োজন। চলমান পরিস্থিতিতে যারা কর্মহীন হয়েছেন, তাদের ই-কমার্সে কাজে লাগানো যেতে পারে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন