নিউজ ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তন ও ভৌগলিক কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগানগুলোতে মুকুল আসতে আরও ২ থেকে ৩ সপ্তাহ সময় লাগবে। তাই আগাম পরিচর্যার পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করেছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
এদিকে মুকুল ঝরা ও পোকার আক্রমণ ঠেকাতে নিয়ম করে কীটনাশক প্রয়োগসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছেন ফল গবেষকরা।
আমের রাজধানী বলা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জকে। এখানকার অর্থনীতির একটি বড় অংশ আসে আম বাণিজ্য থেকে। যেদিকে চোখ যায় ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, লক্ষণভোগসহ সারি সারি আম বাগান চোখে পড়বে সবার। ভৌগলিক কারণে আরও সপ্তাহ দুয়েক পর বাগানগুলোতে আমের মুকুল আসা শুরু হবে। তখন সুবাস ছড়াবে মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। তাই আগাম পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত অনেক বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে গতবারের মতো এবারও লাভের আশা করছেন তারা।
বেশি ফলনের আশায় আগাছা পরিষ্কার করে সেচ ও সার দিচ্ছেন বাগানগুলোতে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি শঙ্কা হোপার পোকার আক্রমণ নিয়ে জানান কয়েকজন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
ফলন বাড়াতে সময়মতো কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নজরুল ইসলাম।
এ জেলায় প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন