অ্যান্টি রেপ ডিভাইস’ সরবরাহে কমিটি গঠনের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে সম্ভ্রমহরণ ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদের স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষামূলক যন্ত্র অ্যান্টি রেপ ডিভাইস সরবরাহের বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটিতে বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রাখতে বলা হয়েছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নারীদেরকে সম্ভ্রমহরণ ও যৌন নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত।
জনস্বার্থে আনা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারক এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারক মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।
গত ১২ জানুয়ারি অ্যান্টি রেপ ডিভাইস সরবরাহের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও চিলড্রেন’স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এ রিটটি দায়ের করা হয়।
সম্ভ্রমহরণ ঠেকাতে কমিশন গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের:
অন্যদিকে, নারী নির্যাতন ও সম্ভ্রমহরণ ঠেকাতে একটি কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ কমিশন গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কমিশনে মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতিনিধি, সুপরিচিত মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের একজন করে প্রতিনিধি, আইনজীবী, বিচারক, বিশিষ্টজন, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষাকারী চিকিৎসক ও চাইলে বা রাজি থাকলে ভিকটিমদেরকেও কমিশনে নিযুক্ত করতে বলেছে আদালত।
একইসঙ্গে কমিশনকে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে সম্ভ্রমহরণ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একটি সুপারিশমালা তৈরি করে আদালতে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি ১৬ বছরের নিচে কেউ ধর্ষণের শিকার হলে সেক্ষেত্রে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় কারও মৃত্যু ঘটলে সেক্ষেত্রে আইনে মৃত্যুদ-ের পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজার যে বিধান রয়েছে সেখান থেকে যাবজ্জীবন উঠিয়ে দিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
এছাড়া ধর্ষণের শিকার ভিকটিমদের জন্য সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, ধর্ষকদের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য ডাটাবেজ তৈরি, প্রতিটি জেলায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে ভিকটিমদর সুরক্ষা দেয়া, ভিকটিমদের ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন, সব ধরনের ধর্ষণের অপরাধের জন্য পৃথক একটি আদালত গঠন এবং সে আদালতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করে এর জবাব দিতে বলেছে আদালত।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন