দেশের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা ইত্তেফাককে বলেন, ‘আমাদের হাতে যে তথ্য এসেছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। গত ৬ মার্চ কলকাতায় একটি বৈঠক হয়। সেখানে মোসাদের সদস্য ছাড়াও ৩০০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি একজন বিএনপি নেতা, খেলাফত আন্দোলনের একজন নেতা ও বাংলাদেশি এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন। এরপর ১০ থেকে ১৪ মার্চ টানা ৪ দিন দিল্লিতে বৈঠক হয়। সেখানে ইসরাইলের প্রভাবশালী নেতা ও মোসাদের দায়িত্বে থাকা মেন্দি এন সাফাদি উপস্থিত ছিলেন। তিনিই বাংলাদেশের সরকার উত্খাতে সবধরনের অর্থায়নের আশ্বাস দেন। এদিকে বিরোধী পক্ষ থেকে সরকার উত্খাত হলে বাংলাদেশে মোসাদকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়াসহ নানা ধরনের সহযেগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
এই বৈঠকের পর ১৮ মার্চ লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার ব্রিজ রোডের পার্ক প্লাজা হোটেলের ১১৪৫ নম্বর রুমে বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন মেন্দি এন সাফাদি। সেখানে জামায়াতে ইসলামীরও একজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠক থেকেই বাংলাদেশের একজন প্রভাবশালী বিএনপি নেতার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স হয়। ওই ভিডিও কনফারেন্সের ফুটেজ এখন গোয়েন্দাদের হাতে। এই ফুটেজ ধরে বিএনপির সিনিয়র কোনো নেতা গ্রেফতার হতে পারেন বলে গোয়েন্দারা ইঙ্গিত দিয়েছেন। পাশাপাশি সিঙ্গাপুর ইস্যুতেও বিএনপি ও জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। গ্রেফতারকৃতরা এসব তথ্য দিয়েছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন