নেদারল্যান্ডসকে মূল্য দিতে হবে – এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি
সাস নিউজ ডেস্কঃ তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গণভোটের পক্ষে র্যালিতে নিষেধাজ্ঞা ও তুর্কি মন্ত্রীকে প্রচারণা চালানোর অনুমতি না দেওয়ায় নেদারল্যান্ডসের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, এ আচরণের জন্য নেদারল্যান্ডসকে মূল্য দিতে হবে। রবিবার ইস্তানবুলে একটি অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এরদোয়ান বলেন, তাদেরকে (নেদারল্যান্ডস) অবশ্যই মূল্য দিতে, শিখতে হবে কূটনীতি কী। আমরা তাদের আন্তর্জাতিক কূটনীতি শিক্ষা দিয়ে ছাড়ব।
বক্তব্যে নেদারল্যান্ডসকে নাৎসিদের অবশিষ্ট ও ফ্যাসিস্ট বলা ঠিক ছিল বলেও উল্লেখ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, শুধু এ ধরনের সরকারই বিদেশি মন্ত্রীদের নিষিদ্ধ করতে পারে। আমি ভেবেছিলাম নাৎসিবাদ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তা ছিলো ভুল। পশ্চিমে এখনও নাৎসিবাদ রয়েছে।
তুরস্ককে পূর্ণ প্রেসিডেন্ট শাসিত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটিতে গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে। সংবিধান সংশোধনের ওই গণভোট উপলক্ষে নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত তুর্কি নাগরিকদের নিয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া কথা ছিল এরদোয়ান সরকারের মন্ত্রীদের। তবে নেদারল্যান্ডস তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেশে অবতরণের অনুমতি দেয়নি। পরে তুরস্কের পরিবার মন্ত্রী সড়ক পথে নেদারল্যান্ডস পৌঁছলে তাকেও তুর্কি উপ-দূতাবাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া নিরাপত্তার আশঙ্কায় এরদোয়ানপন্থীদের র্যালি ও সমাবেশও নিষিদ্ধ করা হয়।
নেদারল্যান্ডসের এমন আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে দেশটিতে বসবাসরত তুর্কিরা। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ডাচ পুলিশের। লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমন করেছে ডাচ পুলিশ।
এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত তুর্কিরা। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ডাচ পুলিশের। লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমন করেছে দেশটির পুলিশ। ইস্তানবুলে এরদোয়ান সমর্থকরা নেদারল্যান্ডসের কনসুলেট ভবনে ডাচ পতাকা খুলে ফেলে তুরস্কের পতাকা উড়িয়ে দেয়।
এর আগে সমাবেশ নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে নেদারল্যান্ডসের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। আর শনিবার দেশটিকে ‘নাৎসিদের অবশিষ্ট এবং ফ্যাসিবাদী’ বলে মন্তব্য করেন এরদোয়ান।
এদিকে, এরদোয়ানের এ ক্ষমতাবৃদ্ধির প্রস্তাবের পক্ষে প্রবাসী তুর্কিদের ভোট পেতে তুর্কি সরকার ইউরোপের দেশগুলোতে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু তাতে রাজী হচেছ না ইউরোপের একের পর এক দেশ। আর এ নিয়ে এই দেশগুলোর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়েছে এরদোয়ান সরকারের।
প্রবাসী তুর্কীদের মধ্যে গণভোটের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সুইডেনের সঙ্গেও তিক্ততা তৈরি হয়েছে তুরস্কের। এরদোয়ানের পক্ষে প্রচারণার জন্যে স্টকহোমে যে হল ঘরটি ভাড়া করা হয়েছিল সেটির অনুমতি মালিক প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সুইডেনে বসবাসকারী তুরস্কের বিরোধী নেতারা বলছেন, এই প্রচারণা খুবই উস্কানিমূলক। জার্মানিও গণভোটের পক্ষে প্রচারণায় বাদ সেধেছে। সূত্র: বিবিসি।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন