কাজে না আসলে চুলো জ্বলে না, পেট জ্বালায় কাজে এসেছি
নিউজ ডেস্ক : ‘কাজে না আসলে বাড়িতে চুলো জ্বলে না, ছেলে-মেয়ে না খেয়ে থাকে, তাই চালাতে কাজে এসেছি। করোনার ব্যাপারে আমরা জানি, তারপরও আমাদের কাজে আসতে হয়েছে। আমরা কাজে না আসলে না খেয়ে থাকবো, কেউ আমাদের বাড়িতে গিয়ে খাবার দিয়ে আসবে না’। এভাবেই বলছিলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামের বিলে কাজ করতে আসা দিনমজুর মুহসিন সরকার।
দিনমজুর মুহসিন সরকারই নয়, ওই এলাকায় কাজ করতে আসা দিনমজুর আরিফ সরকার, শাহজালাল, সেলিম রায়হান, দাউদ মোল্লা, নাছি আবরার, বায়েজিদ আলম সহ আরও অনেকে একই কথা বললেন।
তাদের বক্তব্য, করোনা সম্পর্কে তারা জেনেছে, আর দশ জনের কাছেও শুনেছে, চারদিকের পরিবেশ সম্পর্কেও তারা জানেন, কিন্তু, তাদের করার কিছুই নাই। পেটে মানে না, জন (কায়িক শ্রম) বিক্রি না করলে বাড়িতে হাঁড়ি জ্বলবে না, না খেয়ে মরতে হবে এ জন্যই তারা কাজে বেরিয়েছে।
তা ছাড়া তারা বছরব্যাপী যেসব মহাজনের জমিতে জন (কায়িক শ্রম) বিক্রি করে খায়, তাদের ফসল নষ্ট হচ্ছে, পরিষ্কার না করলে ফসল হবে না সেটাও তাদের দেখার দরকার আছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকালে ওই এলাকায় অন্ত:ত দুই শতাধিক দিনমজুরকে দেখা যায় কাজ করতে। বছরের অন্য সময়ের মতোই স্বাভাবিকভাবে চলছে তাদের জীবনযাত্রা।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন