‘সরকারের নীরবতাই সাহস যোগাচ্ছে বিএসএফের’
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের সাথে ছয়টি দেশের স্থল সীমান্ত রয়েছে। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার। এছাড়া শ্রীলঙ্কার সাথে রয়েছে দেশটির সমুদ্রসীমান্ত। এই সবগুলো দেশের সীমান্তেই মোতায়েন করা আছে ভারতীয় সীমান্তবাহিনী (বিএসএফ)। কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশের সীমান্তে হত্যাকা-ের পরিমাণ নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো হত্যাকা- চালাবে না বলে জানিয়েছিলো ভারত। তবুও বিএসএফ’এর হাতে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা কোনোভাবেই কমছে না। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যতটা জোরালো প্রতিবাদ জানানোর কথা ছিলো, সেটা ততটা জোরালো নয়। প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের পর সরকারের উচ্চমহল থেকে জোরালো কোনো প্রতিবাদ করা হচ্ছেনা। শুধু নামমাত্র প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানিয়ে লাশ ফেরত নেয়া হচ্ছে।
মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন বলেন, ভারতের সাথে ৬টি দেশের সীমান্ত থাকলেও বাংলাদেশ ছাড়া অন্যদেশের সীমান্তে হত্যাকা- নেই বললেই চলে। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ বেপরোয়াভাবে মানুষ খুন করে যাচ্ছে। এর মূল কারণ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় আমরা দিতে পারছি না। ভারত বার বার সীমান্তে হত্যা বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে কথা দিয়েও কথা রাখছে না। এ জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক মহলের দ্বারস্থ হতে হবে।
অথচ ২০১৭ সালের ৯ মার্চ ভারত- নেপাল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী এসএসবির গুলিতে গোবিন্দ নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। নেপালের জনগণের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাওয়া ও উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তখন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে। সাথে সাথে নিহতের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে। পরে গোবিন্দ গৌতমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।
নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা বলছে, সীমান্তে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার করার কথা থাকলেও উল্টো প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। নানা আশ্বাস ও সমঝোতার পরেও সীমান্তে হত্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বন্ধুত্বসূলভ সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন