মাঝখানে খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ!
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বেশি লাভের আশায় মাঝখানে বিদ্যুতের বেশ কয়েকটি খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ করছেন ঠিকাদার। এতে করে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
তারা বলছেন ড্রেনের মাঝখানে খুঁটি থাকায় এই ড্রেনটি কোনো কাজেই আসবে না।
এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ঠিকাদার বলছে খুঁটি সরাতে অনেক খরচ হবে। তাই খুঁটি রেখেই কাজ করা হচ্ছে। তবে খুঁটির কারণে পানি চলাচলের কোনো অনুবিধা হবে না।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, মির্জাপুর পুরাতন বাইপাস এলাকায় এক হাজার ৭০০ মিটার ড্রেনের কাজ পায় নওগাঁর আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে এই কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করা হলেও মূলত কাজ করছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শামীম আল মামুন। আর এ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে সাত কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ড্রেন নির্মাণের কাজ করছেন শ্রমিকরা। তবে ড্রেনের মাঝখানে বেশ কয়েকটি পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি নজরে আসে। এসময় শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, ঠিকাদার তাদের এভাবেই কাজ করতে বলেছেন। খুঁটি সরাতে অনেক টাকা লাগবে তাই খুঁটি না সরিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
আবুল হোসেন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, মাঝখানে খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ করায় এটি কোনো কাজেই আসবে না। শুধু শুধু সরকারি টাকা অপচয় করা হচ্ছে।
সোলায়মান মিয়া নামে আরেক ব্যক্তি জানান, মাঝখানে খুঁটি থাকার কারণে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা খুঁটির স্থানে আটকে যাবে। এতে করে সেখানে পানি আটকে পরবর্তীকালে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াবে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিডের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি।
মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্য সহকারী শফিউল্লাহ জানান, মাঝখানে খুঁটি থাকায় পানি চলাচলে অসুবিধা হবে। আবার ময়লা-আবর্জনাও আটকে থাকবে। খুঁটিগুলো অপসারণ করে ড্রেন নির্মাণ করলে ভালো হতো।
মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, খুঁটিগুলো পল্লী বিদ্যুতের। এগুলো অপসারণ করতে অনেক টাকা লাগবে। এজন্য পল্লী বিদ্যুৎকে টাকা দিতে হবে। তাই খুঁটি রেখেই কাজ করানো হচ্ছে। তবে এই খুঁটির কারণে কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন