দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামাতের পছন্দ হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা: বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়া বিএনপি-জামাতের পছন্দ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রাজধানীর কল্যাণপুরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি)’র শেখ রাসেল মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে দু’দিন ব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বক্তৃতা করে বলেছেন, ৫০ বছরেও দেশ আগায় নি। অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই। স্বাধীনতা অর্জনের পরে মাথা পিছু আয় ১০০ ডলারের নিচে ছিলো। ১৩ বছর আগেও ২০০৯ সালের শুরুতে মাথা পিভহু আয় ছিলো ৬০০ ডলার। আজকে সেটি ২৫৫৪ ডলারে উন্নিত হয়েছে। মাথা পিছু আয় চারগুনেরও বেশি বেড়েছে। দারিদ্রসীমার নিচে মানুষের হার ছিলো ৪১ শতাংশ। সেটি আজকে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এগুলো তারা দেখেও দেখতে পায় না।
বিএনপির বিজয় র্যালির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের মহান বিজয় দিবসে র্যালি করেছে। সেই র্যলিতে তারা মিথ্যাচার করেছে। কোনও রাজনৈতিকবিদ বাস্তব সত্য, ধ্রুব সত্য যেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট সেটিকে কোনো রাজনৈতিক নেতা বা কোনো রাজনৈতিক দল অস্বীকার করে সেটি এক ধরনের সততা সূলভ নয়, সেটি হচ্ছে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। তারা সিলেটে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতারা ভেয়ার ছোড়াছুড়ি করলো। যারা কে চেয়ারে বসা নিয়ে মারামারি করে, চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে, তারা দেশের চেয়ারে বসেলে যে কি করবে। সেটা সহজেই বোঝা যায়।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের সমালোচনা অবশ্যই থাকবে। সমালোচনা থাকতে। আমরা সমালোচনা সমাদৃত করার মানষিকতা পোষণ করি। আমিরা একটি বহুমাত্রিক সমাজে বাস করছি। অতীতের সকল সরকারের কাজে ভুল হয়েছে, এখনো হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে। কোনো সরকারই সঠিক কাজ করতে পারবে না। সেই ভুলগুলো তুলে ধরে সমালোচা করুন। কিন্তু আজ দেশ এগিয়ে গেছে। দেশের অগ্রগতির জাতিসংঘের মহাসচিব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করেছেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত প্রশংসা করতে পারছে না।
আমাদের দেশের রাজনিতি এমন হওয়া উচিৎ সেখানে সমালোচনা থাকবে, প্রতিদন্দীতা থাকবে কিন্তু প্রতিহিংসা থাকবে না। অবশ্যই সরকারের সমালোচনা থাকবে সেটি হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা। কিন্তু দলকানা ও বধীরের মতো সমালোচনা নয়। তাহলেই আমরা সবাই মিলে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে পারবো।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এনডিসি শাহিন ইসলামের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য অফিসার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) এর প্রধান নির্বাহী আবুল কালাম আজাদের প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দু’দিনব্যাপী এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনারে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটট এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট নির্মিত ১১টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। পাশাপাশি ২১শে ডিসেম্বর বিকেলে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ চলচ্চিত্র (বঙ্গবন্ধুর জীবনালম্বনে প্রধানমন্ত্রীর স্ক্রিপ্টে রাইটার কর্তৃক নির্মিত) প্রদর্শিত হবে। এছাড়া, ২১শে ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. মকবুল হোসেন পিএএ।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন