দুশ্চিন্তা কাটছেই না গরু খামারিদের
নিজস্ব প্রতিবেদক: সামনে পবিত্র কুরবানীর ঈদ। সরকারী বিধিনিষেধের কবলে পড়ে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গরুর খামারিদের। কর্তৃপক্ষ অনলাইনের কথা বললেও অধিকাংশ খামারি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত নন। যে কারণে ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। বলছেন, সময়মত পশুর হাট না বসলে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব।
খামারিরা কোরবানি ঈদ সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারও গরু, ছাগল লালন-পালন করেছেন। কিন্তু গবাদিপশু শেষ পর্যন্ত হাটে ওঠানো এবং বিক্রি করা যাবে কিনা, এ নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
কুমিল্লা নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দিশাবন্দ এলাকার রামিশা ক্যাটল ফার্মে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বিক্রির জন্য খামারি ৩০টি গরু প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু এখনও কোনো গরু বিক্রি হয়নি। প্রতিষ্ঠানের কর্তা সবুর আহমেদ অপেক্ষায় আছেন হাট বসলে হাটে নিয়ে গরুগুলো বিক্রি করবেন।
খামারের পরিচর্যাকারী কবির হোসেন বলেন, দিনরাত পরিশ্রমের ফলে গরুগুলো ভালোই মোটাতাজা হয়েছে। এ জন্য আমরা কোনো রকম মেডিসিন ব্যবহার করিনি। এখন বিক্রির অপেক্ষা। কিন্তু হাট না বসলে আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে।
সবুর আহমেদের কণ্ঠেও একই উদ্বেগ। ‘খামারে এক কোটি টাকার বেশি মূল্যের গরু আছে। লালন-পালনে বাড়তি খরচ তো আছেই। হাট না বসলে আমরা সঠিক দাম পাবো না। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।’ বলেন তিনি।
দিশাবন্দ দক্ষিণ পাড়া এলাকার ফজর এগ্রোমেট্রিক্স ফার্মে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানের ৩৯টি গরুর মধ্যে একটিও বিক্রি হয়নি। ফার্মের পরিচালক একেএম সাইফুর রহমান বলেন, সরকারী বিধিনিষেধ আমাদের দুশ্চিন্তার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরুগুলো হাটে নিতে পারবো কিনা তাও জানি না।’
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন