তিস্তার পানি বিপৎসীমায়, প্রধান বাঁধ হুমকির মুখে
নীলফামারী সংবাদাদাতা: নীলফামারীর তিস্তা নদীতে উজানের ঢলে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানির তোড়ে হুমকির মুখে রয়েছে নীলফামারীর ডাউয়াবাড়ি এলাকায় ডান তীরের প্রধান বাঁধ।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ সূত্র জানায়, উজানের ঢলে তিস্তায় বন্যা শুরু হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানীরিএই সাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ জানান, উজানের ঢলে তিস্তার বন্যায় ডিমলার কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, ছোটখাতা বাইশ পুকুর, ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ি এলাকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানকার মানুষজন গরু ছাগল নিয়ে নিরাপদে সরে গেছে। এ অবস্থায় প্রায় ৫ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, এবার ভয়ংকর বন্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বন্যা কবলিত হয়ে পড়া মানুষজনকে সরিয়ে নিতে কষ্ট পেতে হচ্ছে। রাতে পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, ঝিঞ্জির পাড়া বেশকিছু গ্রামের প্রতিটি বাড়ি হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল।
মইনুল হক আরও জানান, তার এলাকার চরখড়িবাড়ি মৌজাটি চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেখানকার স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধটি এখন হুমকির মুখে। সেখানে বালুর বস্তা দিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই বাঁধটি ভেঙে গেলে চরখড়িবাড়ি মৌজার ২ হাজার পরিবারের বসতভিটা তলিয়ে যাবে।
খালিশা চাঁপানীর ছোটখাতা গ্রামের অসংখ্য বসতভিটায় তিস্তার পানি প্রবেশ করেছে বলে জানালেন খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ডাউয়াবাড়ি এলাকার ডানতীর প্রধান বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বাঁধ রক্ষায় সেখানে বালুর বস্তা, কাঠের ও বাঁশের পাইলিং করা হচ্ছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন