অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভারত থেকে নিম্নমানের কয়লা আনা হচ্ছে। নিম্নমানের এই কয়লা আসবে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে নদী দিয়েই। আর তাতে দূষণের শঙ্কায় পড়তে যাচ্ছে সুন্দরবনের নদী, প্রাণ-প্রকৃতি। এই অবস্থায় কোনওভাবেই সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে কয়লা আনা যাবে না এবং অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করতে হবে বলে দাবি করেছেন সমাজের বিশিষ্ট জনেরা।
সোমবার একাধিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে “রামপালমুখী ভারতীয় কয়লা, বিপদাপন্ন সুন্দরবন ও ইউনেস্কো বিশ্ব-ঐতিহ্য কমিটির আসন্ন সভা” শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তারা।
সম্মেলনে বলা হয়, আমরা উন্নয়ন বিরোধী নই। যে কেন্দ্র এক সময় বন্ধ করতেই হবেই সেই কেন্দ্রের পেছনে কেন টাকা খরচ করা হবে। সাধারণ মানুষও বোঝে রামপালের কারণে নদীর ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের ঐতিহ্য রক্ষার অনীহাও এই ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা। আমাদের ঐতিহ্য রক্ষা করতে হলে সবাইকে নিয়ে বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
রামপাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কোল ইয়ার্ডের ফ্লোর করার জন্য কয়লা আনা হচ্ছে। আসলে ইয়ার্ড করতে কত কয়লা লাগতে পারে সে বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া দরকার। সরকার মুখে বলছে তারা সুন্দরবনের ক্ষতি হোক তা চায় না। কিন্তু শুধু মুখে বললেই হবে না কাজের ক্ষেত্রেও এই জিনিস দেখাতে হবে। আমরা অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের দাবি জানাই এবং একই সাথে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে যেকোনও ধরনের কয়লা নিয়ে আসার বিরোধিতা করি।
অধ্যাপক এম. এম. আকাশ বলেন, রামপালের ক্ষেত্রে সরকার কোনও যুক্তিতর্কই মানছে না। অনেক কেন্দ্র বাতিল করেছে। এটা কেনো করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এইগুলা আসলে তো আরও বিদ্যুৎ আমরা পাবো। এক সময় না এক সময় এই কয়লা কেন্দ্র বন্ধ করতেই হবে। তাহলে যে কেন্দ্র বন্ধ করতেই হবে এই কেন্দ্র কেনো এখন করতেই হবে। এটা এখনই বাদ দেয়া উচিত।
খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির অন্যতম সংগঠক রুহীন হোসেন প্রিন্স বলেন, এই কারণে ইউনেস্কো যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয় সেটা পুরো দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে। আর সরকার যেসব কথা বলছে তার কোনটিই বাস্তবে পালন করা হয় না। ধন্যবাদ জানাই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করেছে বলে। কিন্তু কেনো বাদ দিলো তা স্পষ্ট নয়। দশটার সাথে মাতারবাড়ি, রামপাল প্রকল্প বাতিল করেন। এসব প্রকল্পে বন্ধুত্বের কথা বলা হচ্ছে, সুন্দরবনের ক্ষতি হলে এই বন্ধুত্ব নষ্ট হবে। সুন্দরবন ধ্বংসের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে, এই আন্দোলন চলবে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন