‘হাসেম ফুডস কারখানায় আগুন নেভানোর তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না’
নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় আগুন লাগার অনেক কারণ থাকলেও আগুন নেভানোর তেমন কোন ব্যবস্থাই ছিল না। ভবনে ফায়ার অ্যালার্ম না থাকায় আগুন লাগার পরও কেউ টের পায়নি, এ কারণে দূর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ও নিহতের ঘটনায় নাগরিক তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গঠিত তদন্ত কমিটি সমূহ তাদের প্রতিবেদনে হাসেম ফুডস এর মালিক পক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার তথ্য প্রমাণ হাজির করলেও এখনো ঐ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে জানা যায়নি বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
কমিটির আহ্বায়ক জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে সরকারিভাবে ৫২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলেও নাগরিক তদন্ত কমিটি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তালিকা যাচাই বাছাই ও মাঠপর্যায়ের তদন্ত করে নিহতের সংখ্যা ৫৪ জন এবং আহতের সংখ্যা ৩৩। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
গত ৯ জুলাই রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন