মায়ানমার থেকেই আসছে নতুন নতুন মাদক
নিজস্ব প্রতিবেদক: বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশ মায়ানমার থেকেই ইয়াবার মতো নতুন নতুন ভয়ানক যত মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। কিছু মাদক অত্যন্ত ব্যয়বহুল। যার পাঁচ গ্রামের বাজারমূল্য প্রায় লাখ টাকা।
সম্প্রতি একটি তথ্যে জানা গেছে, মায়ানমার থেকে মোংলা বন্দর অভিমুখী এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বহন করা একটি বড় ট্রাকের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার মাদক কুমিল্লায় নিয়ে আসে। এরপর প্রাইভেটকারে ঢাকায় আসে।
মাদকসহ মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করা এমন একটি চক্রকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। পৃথক অভিযানে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ ২৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেফতার করে।
বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার সঙ্গে অত্যাধুনিক মাদক অত্যন্ত ব্যয়বহুল মাদকও চোরাচালান হচ্ছে। এই মাদকটি প্রথমে মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রামে আসে। এরপর চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় একটি প্রাইভেটকারে আনলোড করে ঢাকায় প্রবেশ করে। ইয়াবার মতো মাদকটি সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে। সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করে গোয়েন্দা পুলিশ মাদকটি প্রবেশে কঠোর হবে।
বিত্তবান ও তাদের বখাটে সন্তানরা এসব মাদক নিয়ে থাকে। মূলত সিসা লাউঞ্জে সিসা সেবনকারীরা এসব মাদক নিয়ে থাকেন। মাদক গ্রহণে হরমোন উত্তেজনা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, লকডাউনের কারণে অনেক দিন ধরে তাদের মাদক ব্যবসা মন্দা ছিল। লকডাউন শেষে তারা অত্যাধুনিক মাদক কক্সবাজার থেকে কিনে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে। মোংলা বন্দর অভিমুখী এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বহন করা একটি বড় ট্রাকের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার মাদক কুমিল্লায় নিয়ে আসে। এরপর প্রাইভেটকারযোগে এগুলো ঢাকায় প্রবেশ করে।
গ্রেফতার সবার বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এই চক্রটি কতদিন ধরে কাজ করছে এমন প্রশ্নের ডিবি প্রধান বলেন, ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অনেকবার এই উচ্চবিত্ত মানের মাদকসহ অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। আমরাও এই চক্রটিকে গ্রেফতার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারব- তারা কতদিন কাজ করে। আর যারা ইয়াবা ব্যবসা করে তারাই আইসের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে জানান তিনি।
অভিজাত এলাকায় বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বসুন্ধরা এসব অভিজাত এলাকায় এই মাদক সেবনের পরিমাণ বেশি। এই মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন