৪৩তম বিসিএসের সম্ভাব্য তারিখ
নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনার ভয়াবহতায় অনেকটাই স্তব্ধ হয়ে আছে সব শিক্ষা কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এরমধ্যেই চলছে কিছু কিছু পরীক্ষা।
গত ১ আগস্ট দুপুরে প্রকাশ করা হয় ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল। পরীক্ষার চার মাসের বেশি সময় পর বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এরপরই শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন দেখা দেয়, কবে হবে ৪১তম বিসিএসের লিখিত ও ৪৩ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।
৪৩ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৪১তম বিসিএস পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষার জন্য আমরা নভেম্বর মাসকে ধরেছি। এ ছাড়া ৪৩তম বিসিএসের জন্য অক্টোবর মাসকে ধরা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই সময়েই এই দুই বিসিএসের পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’
এছাড়া পিএসসি-সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, ৪১তম বিসিএসের প্রিলির ফলাফলের যে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেখানে বিসিএসের বিভিন্ন পরীক্ষা কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ও ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পিএসসির একাধিক সদস্য জানান, করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আটকে থাকা পরীক্ষা শেষ করতে চায় পিএসসি। নিয়োগের সময় কমিয়ে আনতে হলে এটিই সহজ সমাধান বলে মনে করেন তারা।
এদিকে ৪১ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে ২১ হাজার ৫৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা সংক্রমণের সময়ে পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও ৮টি বিভাগীয় শহরে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু করোনাসহ নানা কারণে পরীক্ষার চার মাসেও ফল প্রকাশ করেতে পারেনি পিএসসি।
দুই হাজার ১৩৫টি ক্যাডারের শূন্যপদের বিপরীতে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। এতে রেকর্ড সংখ্যক আবেদন জমা পড়ে। পিএসসি জানায়, মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। আর ২০১৮ সালে ৪০তম বিসিএসে ৪ লাখ ১২ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।
৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিসিএস শিক্ষায় ৯০৫ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বিভাগে ১০ জন প্রভাষক নেওয়া হবে। প্রশাসনে ৩২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এছাড়া পুলিশে ১০০ জন, বিসিএস স্বাস্থ্যে সহকারী সার্জন ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০ জন নেওয়া হবে। ৪১তম বিসিএসে পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক হিসেবে ৮ জন নেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হিসেবে ৩ জনকে নেওয়া হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন