সরকারী বিধিনিষেধের ক্ষতি: গরু সংগ্রহ নিয়েই বিপাকে ব্যাপারীরা
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা: মিরপুরের ব্যাপারী। গত কোরবানির ঈদে ২২টি গরু বিক্রি করে লাভ করেছিলেন চার লাখ টাকা।
কিন্তু চলমান সরকারী বিধিনিষেধের কারণে এখনও এবার স্থানীয়ভাবে কোনো হাট বসে নাই। তাই কোরবানির জন্য গরু সংগ্রহ করতে পারেননি। কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র ১৪ দিন। এখনই গরু সংগ্রহ করে ঢাকার হাটগুলোতে ওঠানোর প্রস্তুতির সময়।
সোমবার নগরীর একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট গাবতলী ঘুরে দেখা যায়, গরু থাকলেও বেচাকেনা কম। সাধারণত যেসব মানুষের বাড়িতে জায়গা আছে এবং ঢাকার আশপাশে বিশেষ করে সাভার ও কেরানীগঞ্জে কোরবানির গরু একটু আগে বিক্রি হয়। কিন্তুএবার দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। গাবতলী পশুর হাটে ক্রেতা হাতে গোনা।
গাবতলী পশুর হাটে ব্যাপারীরা জানান, বাজার কেমন হবে বোঝা যাচ্ছে না। লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। ফলে গৃহস্থের বাড়ি থেকে গরু সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ স্থানীয়ভাবে হাট বসছে না।
জামালপুরের ইসলামপুরের নূর উদ্দিন ব্যাপারী প্রতিবছর কোরবানির ঈদে শতাধিক গরু ঢাকায় বিক্রি করেন। অথচ এবছর স্থানীয় হাট বন্ধ থাকায় তিনি একটিও গরু কিনতে পারেননি। তিনি বলেন, আমরা সব সময় কসাইয়ের দরে গরু বিক্রি করি। সেই হিসেবে কিছুটা পেটে ভাতে চলে বলা যায়। আমরা একটা দিনের জন্য অপেক্ষা করি সেটা হলো কোরবানির ঈদ। কিন্তু কোরবানির ঈদ উপলক্ষে একটি গরুও কেনা হয়নি। এবার হাট বসবে কিনা আমরা অনিশ্চয়তায় আছি।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার শহিদুল ব্যাপারী গত কোরবানির ঈদে ২০টি গরুতে তিন লাখ টাকা লাভ করেছিলেন। এই আশায় এবার ৩৫টি গরু কিনে রেখেছেন। কিন্তু তিনি বিপাকে লকডাউন নিয়ে। সামনে হাট বসবে কিনা এবং মানুষ বাজারে আসবে কিনা এই নিয়ে চিন্তায় শহিদুল।
তিনি বলেন, গাও গেরাম ঘুরে ঘুরে ৩৫টি গরু দামে কিনেছি। এবার কী হবে আল্লাহ পাক জানে। গাহাক (ক্রেতা) বাসা থেকে না বের হলে গরুডা কার কাছ বিক্রি করবো।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন