করোনা সনদ ছাড়াই দেশে আসছে ভারতীয় ট্রাক চালকরা
দিনাজপুর প্রতিনিধি: ভারতে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতায় সীমান্ত সিলগালা করেছে সরকার। পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতে চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনে গিয়ে আটকপড়া বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদের দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া হিলি স্থলবন্দর দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জরুরি পণ্য সরবরাহের কথা রয়েছে। কিন্তু মালপত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় ট্রাক চালক ও তাদের সহযোগীদের করোনা নেগেটিভ সনদ অথবা ভ্যাকসিন গ্রহণের কার্ড ছাড়াই বাংলাদেশে অবাধে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
এ কারণে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী, সীমান্তবর্তীসহ উপজেলার সাধারণ মানুষ মাঝে আতঙ্ক রয়েছেন। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় জনগণ, বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দুর্ভোগ লাঘবে সরকার গত ১৯ মে থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তাদের দেশে ফেরার সুযোগ করে দেন। সরকারি সকল নিয়ম-নীতি মেনে করোনা নেগেটিভ সনদ দেখানোর পর আটকে পড়া পাসপোর্ট যাত্রীদের দেশে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এরপরেও এপারে ড্রপ টেস্টে অনেকের আবার পজিটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ছে।
কিন্তু হিলি স্থলবন্দরে শত শত ট্রাক চালক, হেলপার ও শ্রমিকের আনাগোনা। ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপাররা তাদের সংস্পর্শে আসে এবং একই স্থানে বসে থাকে। ভারতীয় মালামাল নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ভারতীয় ট্রাক চালক ও তাদের সহযোগীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির তেমন কোনোটাই অনুসরণ করা হচ্ছে না। তারা মালপত্র নিয়ে বাংলাদেশে অবাধে প্রবেশ করছে। তাদের করোনা নেগেটিভ সনদপত্র বা ভ্যাকসিন গ্রহণের কার্ড দেখাতে হচ্ছে না। এমনকি তাদের বাংলাদেশে প্রবেশকালে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না। তারা বাংলাদেশে প্রবেশের পর মালপত্র খালাস করা পর্যন্ত দুই থেকে তিনদিন অবস্থান করছেন।
হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, প্রতিনিয়ত ভারতে করোনার প্রভাব বাড়ছে যা আতঙ্কের। ভারতীয় ট্রাকের চালক ও তাদের সহযোগীদের করোনা টিকার কার্ড বা নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে প্রবেশ করতে একমাস পূর্বে পত্র দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। তাই গত ২৪ মে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ৩১ মে থেকে চালকদের করোনা টিকার কার্ড বা করোনা নেগেটিভ সনদ অথবা দেশে প্রবেশের সময় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে বলে সিআন্ডএফ এজেন্ট আসোসিয়েশন জানিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম ঘটলে আবারো এ বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার তৌহিদ আল হাসান জানান, হাকিমপুর উপজেলায় গত ৭ দিনে ছয়জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বন্দর সংশ্লিষ্ট আছেন একজন এবং অন্যরা স্থানীয় বাসিন্দা।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন