এবারও ফলন বিপর্যয়ের মুখে পান চাষ
মেহেরপুর: এ বছরও ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়লো মেহেরপুরের পান চাষ। গোড়া ও কাণ্ড পচা এবং দাগ রোগে চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে পরপর কয়েক বছর ধরে পান চাষে এমন লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।
মেহেরপুর সদরের পিরোজপুর ও নুরপুর, গাংনী উপজেলার সানঘাট, চান্দামারী, এলাঙ্গী, বেড়, হেমায়েতপুর, কাজীপুর, সাহারবাটি, নওপাড়া ও কাথুলি গ্রাম পান চাষের জন্য উল্লেখযোগ্য। প্রতিবছরই এসব গ্রামের কৃষকরা অন্যান্য চাষের পাশাপাশি পান চাষ করছেন। গোড়া ও কাণ্ড পচা এবং দাগ রোগের কবলে পান। জনুরপুর গ্রামের পান চাষী নাসির উদ্দিন বলেন, এবছর আমার তিন বিঘা জমিতে পানের খিলে রয়েছে। টানা কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহ আর তীব্র শীতে পানের গোড়া ও কাণ্ড পচা এবং পান পাতায় দাগ রোগ ধরেছে। বিগত কয়েকবছর ধরে কৃষকদের এমন ক্ষতি হচ্ছে। তাই চরম লোকসানে পড়েছি আমরা।
গেলো বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অধিকাংশ চাষীই এ বছর উৎসাহ নিয়ে পান চাষ করেছিলেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া সে আশা, নিরাশায় পতিত করেছে বলে বলেন পিরোজপুর গ্রামের পান চাষী আক্কাস আলী।
পান চাষী মহিদুল ইসলাম বলেন, লাভজনক হওয়ায় মেহেরপুরের কৃষক পান চাষে ঝুঁকেছিলেন। আগে প্রতি সপ্তাহে এলাকা থেকে ৮-১০ ট্রাক পান জেলার বাইরে রফতানি হতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে পানের সঠিক পরিচর্যা করেও লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। মাঠের প্রায় ৯০ ভাগ পানে বিভিন্ন রোগ ধরে এমন ক্ষতি হচ্ছে চাষীদের।
নুরপুর গ্রামের পান চাষী নাসির উদ্দিন বলেন, পান বারো মাসী ফসল। বৈশাখ-জৈষ্ঠ মাসে পান চাষের জন্য জমিতে পিলে তৈরি করতে হয়। এক বিঘা জমিতে পান চাষ করতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায়
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন