বেহাল শ্রমবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন বায়রার ১৬০০ মালিক
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় ৪ মাস ধরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আন্তর্জাতিক রুটে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হলে শ্রমবাজার চালু হবে কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিবাসন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে সৌদি আরব, ইউএই, কুয়েত, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশী কর্মীদের নামে যেসব দক্ষ-অদক্ষ মিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সংশ্লিষ্ট দেশ কি ইস্যু হওয়া এসব ভিসা বাতিল করবে নাকি পুনরায় একই নামে ভিসা ইস্যু করে কর্মীদের যাওয়ার সুযোগ দেবে তা নিয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন জনশক্তি রফতানির সাথে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক, প্রতিনিধি, বিদেশগামী কর্মী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা।
কারণ কর্মীদের বিদেশ পাঠাতে রেজিস্ট্রেশন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, মেডিক্যাল এমনকি টিকিটসহ যাবতীয় প্রসেসিংয়ে যে পরিমাণ টাকা খরচ করা দরকার তার সবই সম্পন্ন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় যদি ভিসাগুলো পুনরায় ইস্যু না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় সংশ্লিষ্ট দেশগুলো, তাহলে তালিকাভুক্ত ১৬০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকসহ সম্পৃক্তরা শত শত কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) নেতৃবৃন্দরা আশঙ্কা করছেন।
জনশক্তি ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত এজেন্সির মালিকরা তাদের ক্রয় করা ভিসা বাতিল হবে কি হবে না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা যে টাকা বিনিয়োগ করেছি সেটির কি হবে? যদি কোনো কারণে ভিসাগুলো বাতিল হয়ে যায় তাহলে কর্মীরা আমাদের অফিসে এসে ঘেরাও করবে। তখন আমরা তাদের কিভাবে মোকাবেলা করব।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির সেক্রেটারি জেনারেল শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, বিদেশ যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা প্রায় দেড় লাখ শ্রমিকের নামে ইস্যু হওয়া ভিসা কি বাতিল হচ্ছে কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে বায়রা সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের মন্ত্রীকে লিখেছি, অলমোস্ট এক লাখের মতো ভিসা আমাদের কাছে আটকে গেছে। অনেক আগে থেকেই বায়রা কাজও করতে ছিল। বায়রা থেকে মেম্বারদের গাইড লাইন দিয়েছিলাম আমাদের ইনফরম করার জন্য। আসলে কার কাছে কত ভিসা আছে, কোন পজিশনে এবং কোন দেশের। এখন অনেক অফিস খোলেনি। লকডাউনের কারণে অনেকে জমা দিতে পারেনি। তারপরও ৩০৫টি কোম্পানি থেকে মোট ৮০ হাজারের মতো একটা স্টেটম্যান্ট পেয়েছি। আমাদের তো ১৬০০ লাইসেন্স। সব প্রতিষ্ঠানের যদি আসে তাহলে আরো ৪০০-৫০০ লাইসেন্স মিলিয়ে মোরদ্যান আরো একলাখ হবে। এর মধ্যে অনেকের ভিসা কমপ্লিট হয়েছে, কারো মেডিক্যাল আবার কারো টিকিট কমপ্লিট হয়ে আছে কারো ম্যানপারমিট হয়ে আছে। আবার যারা বিদেশ থেকে ছুটিতে এসেছেন তারাও তো যেতে পারেননি। তাদের সংখ্যাটাও আমাদের জানা নেই। এই জন্য আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি, তারা যদি রেজিস্ট্রেশনের একটা লিংক খুলে দিতেন তাহলে ভালো হতো। এটি মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন