হঠাৎ করেই ডায়ালাইসিস বন্ধ করল ভারতীয় ‘স্যানডোর’
নিজস্ব প্রতিবেদক: হঠাৎ করেই রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সরকারের কাছে বকেয়া প্রায় ১৮ কোটি টাকা আদায়ের কৌশল হিসেবে সেবা বন্ধ করে দেয় দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যানডোর।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ থাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
তবে রোগীদের অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে দুপুর ২টার দিকে ডায়ালাইসিস সেবা চালু করেন স্যানডোরের কর্মকর্তারা।
সকালে এসেও ডায়ালাইসিস করাতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক রোগী বলেন, এর আগেও দুই-তিনবার এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উল্টো এতদিনের ৪৮৩ টাকায় ডায়ালাইসিস করাতে এখন বাড়তি টাকা লাগার খবরেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্যানডোরের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে বসেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান। বৈঠকে, পাওনা সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে, ডায়ালাইসিস সেবা চালুর আহ্বান জানান তিনি। তাতেও রাজি হন নি স্যানডোরের কর্মকর্তারা।
স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বিডি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রশাসন ও বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক মঞ্জুর রহমান জানান, ২০১৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে ১০ বছরের চুক্তিতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়া শুরু করে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যানডোর। প্রতি ডায়ালাইসিসে মাত্র ৪৮৩ টাকা দিতে হয় রোগীদের। বাকি টাকা দেয় বাংলাদেশ সরকার।
এই সুবিধায় বছরে ২৯ হাজার ৬০৯ টি সেশনের (৪ ঘণ্টায় এক সেশন ধরে) অনুমোদন রয়েছে সরকারের। এরচেয়ে বেশি হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়।
স্যানডোরের এই কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালের পরিচালকের মৌখিক অনুমোদন ও অনুরোধে বাড়তি সেবা দিয়েছেন তারা। যার বিল আটকে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সবমিলিয়ে সরকারের কাছে ১৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। গত ২৪ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েও বকেয়া পরিশোধের কোন প্রতিশ্রুতি পায়নি তারা। তাই ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন