লকডাউনের ক্ষতি: ‘মানুষের জমানো অর্থও শেষ’
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে এক সংলাপে। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম রোববার এই সংলাপ আয়োজন করে।
সংলাপে বলা হয়, জমানো অর্থ ও খাদ্যদ্রব্য দিয়ে অনেকেই এখন পর্যন্ত টিকে আছেন। আমার মনে হয়, অনেকেরই সেই জমানো অর্থ ও খাদ্যদ্রব্য শেষ হয়ে গেছে। আগামীতে সঙ্কট আরও বাড়বে। তাই সরকারকে জোর প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানাই।
দেশের লকডাউন শুরুর পর থেকেই ব্যবসা বাণিজ্য ও নতুন বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে সামগ্রিক ভোগ ব্যয় যেমন কমেছে, তেমনি প্রতিদিনই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাতারে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন মুখ আর পরিবার।
বিভিন্ন সমীক্ষার তথ্য উপাত্ত দিয়ে বলা হয়, গত বছরের প্রথম লকডাউনেই দেশে প্রতি ১০০ পরিবারের ৭৯টিই চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে, যা থেকে উত্তরণ সম্ভব হয়নি।
সিপিডির সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, “প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ খাবার গ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। ৬০ শতাংশ মানুষ ঋণ করে সংসার চালাচ্ছে, ৪৭ শতাংশ মানুষ নিত্যদিনের খাবারে মাছ-গোশতের মতো প্রোটিন জাতীয় খাবার কমিয়ে দিয়েছে। ১০ শতাংশ মানুষ তিন বেলার বদলে একবেলা খাবার নিচ্ছে।”
২০২০-২০২১ অর্থবছর সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে আরও বেশি পিছিয়ে দিয়েছে। তাই ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের মতো অনেক অর্থনীতির সূচকগুলো নিম্নগামী ছিল। ফলে কর্মসংস্থানে সৃষ্টিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এতে সমাজে দরিদ্র মানুষের সংখ্যার সঙ্গে বৈষম্যও বাড়ছে।
অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে মোট ৩০টি প্রণোদনা প্যাকেজ সরকার ঘোষণা করলেও প্রান্তিক মানুষ তার সুবিধা পায়নি।
দেশে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ ঝুঁকিতে আছে দাবি করে তাদের কাছে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিমুক্ত উপায় বের করতে সরকারকে আহ্বান করা হয়।
লকডাউনে বৈষম্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। কারণে প্রধান খাদ্য দ্রব্য চালের দাম আরও বেড়েছে।”
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন