রমাদ্বান শরীফের আগে আরেক দফা বাড়লো পণ্যের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাস শুরুর আগে আরেক দফা বাড়লো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। অর্থাৎ টানা তিন মাস ধরে কমবেশি দাম বেড়েই চলেছে। বাজারের তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে মুরগির দাম। নতুন করে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে খোলা সয়াবিন, খোলা পাম অয়েল, মসুর ডাল। দাম বেড়েছে মাছ-গোশতের পাশাপাশি ইফতার ও সাহরিতে ব্যবহৃত নিত্যপণ্যের। এতে করে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষ তাদের আয় দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনতে পারছে না।
এমনিতে দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাও ভুগছেন।
শুক্রবার রাজধানীর নিউমার্কেট বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
দেশজুড়ে আগেই বাজারে শসা ও লেবুর দাম বেড়ে গেছে। কয়েকদিন আগে যে শসা কেজি ২৫-৩৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে, শুক্রবার (১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে তা বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও যে লেবু আকারভেদে জোড়া ১৪-২০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে, নগরের বিভিন্ন স্থানে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়।
মূলত ইফতারি তৈরির উপাদানের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, শাক-সবজি বাদে সব পণ্যেরই দাম বাড়তি। কথা হয় বাজারে আসা মিনারের সঙ্গে। এই ক্রেতা মন্তব্য করেন, আসন্ন রমাদ্বান শরীফকে সামনে রেখে অসৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করেছে। আর এ অবস্থা অন্তত গত ১৫ দিন আগে থেকেই।
তবে ঠিক কী কারণে হঠাৎ করেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ল তা বলতে রাজি হননি কোনো গোশত বিক্রেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিক্রেতা বললেন, রোজার সময় একটু দাম বাড়েই। রোজার মাঝামাঝি সময়ে গোশতের দাম কিছুটা কমবে। আবার শেষ মুহূর্তে বাড়বে।
কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী রিমন বলেন, হঠাৎ একদিনের ব্যবধানে শসার দাম ২০ টাকা বেড়ে গেছে। আড়তদাররা শসার গাড়ি রিয়াজউদ্দীন বাজারে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। যার কারণে শসার দাম বেড়েছে।
উস্তর আলী নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, কাঁচাবাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। গত সপ্তাহের তুলনায় এখনও এত বেশি বাড়েনি। শসা ও বেগুনের দাম বাড়তি।
এদিকে নগর বাসিন্দারা রোজাকেন্দ্রিক কেনাকাটা শুরু করেছেন। বিক্রি বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জিরা, দারচিনি, এলাচ, আদা, শুকনো মরিচের দামও বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা মসলার দাম বাড়ার তথ্য দিলেও ভিন্ন কথা বলছেন পাইকাররা। পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রোজাকেন্দ্রিক মসলার দাম বাড়েনি। জিরার দাম একমাস ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। এলাচের দাম বাড়ার বদলে কেজিতে ৯০ টাকা কমেছে। তবে দারচিনির দাম কেজিতে ৪-৮ টাকা বেড়েছে। তারা বলছেন, বাজারে প্রচুর পরিমাণে জিরা, দারচিনি, এলাচের সরবরাহ রয়েছে। এসব পণ্যের ঘাটতি হবে না। গত কয়েকদিনে কমেছে পেঁয়াজের দাম। খুচরায় পেঁয়াজের কেজি ৩০-৩৫ টাকা।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন