বাজারদর: বেগুন-শসা-মাছের দাম চড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে থাকা পেঁয়াজের দাম গেলো এক সপ্তাহে আরও কমেছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমলেও রোজার প্রভাবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন ও শসা। বেগুনের কেজি ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। আর শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। এর সঙ্গে দাম বেড়েছে ইলিশ ও রুই মাছের।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ খুচরা ব্যবসায়ী দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ২৫ টাকা। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ৩০ টাকা কেজিতেও পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকা।
পেঁয়াজের এ দাম কমার বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মুহম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, মাঝে হুট করে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। সেসময় পেঁয়াজের কেজি ৬৫ টাকা বিক্রি করেছি। হালি পেঁয়াজ আসার পর থেকে দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আড়ত থেকে কম দামে কিনতে পারায় কম দামে বিক্রি করছি।
পেঁয়াজ কিনতে আসা মুহম্মদ আশরাফ আলী বলেন, ২০০ টাকা দিয়ে দুই পাল্লা পেঁয়াজ কিনেছি। অর্থাৎ ২০ টাকা কেজি পড়েছে। ১৫-২০ দিন আগে পেঁয়াজের কেজি কিনেছিলাম ৪৫ টাকা দরে। এই প্রথম রোজায় পেঁয়াজের দাম কমতে দেখছি। পেঁয়াজের দাম কমায় ভালো লাগছে। কিন্তু অন্যান্য পণ্যের দাম তো অনেক বেশি। অন্যান্য পণ্যের দাম কমলে আরও বেশি স্বস্তি পেতাম।
কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার প্রভাবে গত সপ্তাহেই বেগুনের কেজি ১০০ টাকায় ওঠে। গত এক সপ্তাহে বেগুনের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরা প্রকারভেদে বেগুনের কেজি বিক্রি করছেন ৭০-১০০ টাকা। বেগুনের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শসা। এক কেজি শসা কিনতে ৬০-৮০ টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজিও।
পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে, কিছুদিন আগে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সজনে ডাটার দাম কমে ৮০ টাকায় নেমেছে। সামনে এ সবজির দাম আরও কমবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
রামপুরার ব্যবসায়ী মুহম্মদ মিলন বলেন, দুই সপ্তাহ আগে সজনে ডাটার কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন সজনে ডাটা ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কয়েকদিনের মধ্যে দাম আরও কমে ৫০ টাকা হতে পারে।
অন্যদিকে মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে রুই ও ইলিশ মাছের দাম বেড়েছে। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। এক সপ্তাহে আগে রুই মাছের কেজি ছিল ২৬০-৪৫০ টাকার মধ্যে। কিছুদিন আগে ১০০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০০-১৬০০ টাকায়। অন্যান্য মাছের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাছের দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী ছাইদুর বলেন, রোজায় ইলিশ ও রুই মাছের চাহিদা বেড়েছে। এই কারণে হয়তো এ দুটি মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা আগের মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০-১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩১০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩১০-৩৪০ টাকা।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন