বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খুঁজে যাব, যে পর্যন্ত তারা জীবিত থাকে
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারের রায় অনুসারে অনেক আসামির শাস্তি হয়েছে। বাকি যারা আছে, তাদেরকেও আমরা খুঁজছি। আমরা খুঁজে যাব, যে পর্যন্ত তারা জীবিত থাকে। তাদের ধরে এনে অবশ্যই বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর আফতাব নগরে মহান বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি ও ইউএস-বাংলা গ্রুপের পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন ঢালী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি। সবকিছু ধাপে ধাপে এসেছে। বঙ্গবন্ধু ইচ্ছে করলেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা দিতে পারতেন। আমরা যারা ঐতিহাসিক দিনে মঞ্চের কাছাকাছি ছিলাম, তারা আশা করেছিলাম বঙ্গবন্ধু যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেবেন। কিন্তু তিনি সেটা না বললেও ভাষণে এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তি সংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের ছাত্র নেতাদের বলে দিয়েছিলেন আমি সবকিছু অনুসরণ করব। কিন্তু আমি জানি পাকিস্তানিগোষ্ঠী মানবে না, শেষ পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা মনে করি তিনি দূরদর্শী নেতা ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর তুলনা কেবল বঙ্গবন্ধু নিজেই। বিশ্বর শ্রেষ্ঠ নেতারা সবসময়ই তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে হারানোর কালিমা দূর করে দিয়েছেন। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে পেরেছি। বিচারের রায় অনুসারে অনেক আসামির শাস্তি হয়েছে। বাকি যারা আছে, তাদেরকেও আমরা খুঁজছি। আমরা খুঁজে যাব, যে পর্যন্ত তারা জীবিত থাকে। তাদের ধরে এনে অবশ্যই বিচারের রায় কার্যকর করব। যখনই যাকে পাওয়া যাবে, তাদের যেভাবেই দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, করে যাব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ বলেন, স্বাধীনতা সম্পর্কে জানতে হলে নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে হবে। বেশি বেশি বই পড়তে হবে। আমারও এ বিষয়ে কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এই এলাকার স্কুলে বইগুলো দান করব। আশা করি বর্তমান প্রজন্ম বইগুলো পড়ে প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে।
প্রধান অতিথিসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সভাপতি ও ইউএস-বাংলা গ্রুপের পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন ঢালী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির নেতা, ছিলেন পিতা। তিনি ছিলেন আধুনিক, মানবিক, ধার্মিক, অসাম্প্রদায়িক ও শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলার রূপকার ও মুক্তিযুদ্ধের কারিগর। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। যার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি সংবিধান ও লাল সবুজের পতাকা।
আলোচনার শুরুতে অতিথিদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সম্মানিত করা হয়। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম, ৩৭, ৪১ ও ৪২ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর কামরুন নাহার, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার শওকত হোসেন ও জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন কাজল প্রমুখ।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন