দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছে ঢাকা-ওয়াশিংটন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আগামীকাল সোমবার (৪ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সামনের দিনগুলোতে একসঙ্গে চলা, র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা ইস্যু, খুনি রাশেদকে ফেরতসহ নতুন নতুন ক্ষেত্রে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেবে ঢাকা।
গত জুমুয়াবার (১ এপ্রিল) ঢাকা-ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমন ইঙ্গিত দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, শনিবার রাতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন ড. মোমেন। পাঁচ দিনের সফরে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামীকাল সোমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবে ড. মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
বৈঠকে র্যাবের বিরুদ্ধে দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি ঢাকা তুলবে কি না- ড. মোমেনের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মোমেন বলেন, ‘আমরা এটা তুলব। আর তারা বলবে, নিশ্চয়ই একটা প্রসেস আছে। আমরা তাদের বলতে চাই যে এ প্রতিষ্ঠানটা হওয়ায় আমাদের দেশে সন্ত্রাস কমেছে। শুধু আমাদের দেশে সন্ত্রাস নয়, আমাদের আশপাশের দেশের সন্ত্রাসটা অনেক কমে গেছে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না। আমরা তো অস্ত্রের ভান্ডার সৃষ্টি করতে চাই না। কারণ আমাদের প্রয়োজন নেই। আমরা খুব শান্তি প্রিয় দেশ। সব প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক। অস্ত্র সংগ্রহ করলেই যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব আসে। আমরা ওগুলোতে নেই। তোমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) অন্যান্য প্রযুক্তি আছে, সেটা আমাদের দাও। অস্ত্র আমাদের খুব কম প্রয়োজন।
কারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ কিছু করে না- উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাপের মধ্যে কিছু করব না। চাপের মুখে আমরা কিছু করব না। আমরা আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য যা যা প্রয়োজন সেগুলো করব।
ইন্দো-প্যাসিফিক প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের রিকুয়েস্ট করেনি। এটা একটা দর্শন। এ দর্শনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মোটামুটি এক। তারা যেটা বোঝাতে চায়, অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চল। আমরাও সেটা চাই। কোনো রাষ্ট্র এটাকে বাধাগ্রস্ত করুক তারা এটা চায় না, আমরাও চাই না। এক্ষেত্রে আমরা মোটামুটি এক।
তিনি বলেন, কিন্তু তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) ভয়টা হলো, চায়না তো এখানে মাতব্বরি করছে। এ কারণে তারা একটা ভয় পাচ্ছে। কিন্তু আমরা কারও লেজুড় হতে চাই না। এটা বাধাগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাই না। এটা রাজনীতির একটা চেসপোর্ট হোক এটা আমরা চাই না।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন