একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৫ শিশুর মধ্যে দুই শিশুর মৃত্যু
নিউজ ডেস্ক: কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৫ শিশুর মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে মারা গেছে। বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে ৫টি শিশুর মধ্যে ছেলে শিশুটি মারা যায়। দুপুরে আরেক কন্যা মারা যায়।
এ বিষয়ে চিকিৎসক নাজিম বলেন, বাচ্চাগুলো কম ওজনের। এ কারণে তাদের সার্ভাইভ করা কঠিন। তাদের রাখার জন্য কুষ্টিয়া হাসপাতালে সে রকমের আইসিইউ সাপোর্ট নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা নিয়ে যাওয়া দরকার। কুষ্টিয়ার হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে ছেলে ও একটি মেয়ে মারা গেছে। তার বোনদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে বুধবার সকাল ১০টার এবং দুপুর ২টার দিকে তাদের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শিশু বিশেষজ্ঞ নাজিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, শিশুদের বাবা আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় তারা এখানে রেখেই চিকিৎসা দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু এত কম ওজনের বাচ্চাকে আইসিইউ সাপোর্ট ছাড়া বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হবে।
জীবিত শিশুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে জন্ম নেয় পাঁচ শিশু।
চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচার ছাড়া গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় জন্ম হওয়ায় শিশুদের ওজন কম হয়েছে। মা সুস্থ আছেন।
কুষ্টিয়ায় ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গর্ভধারণের ছয় মাসের মাথায় সাদিয়া (২৫) নামে এক গৃহবধূ একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এরমধ্যে চারজন মেয়ে ও একজন ছেলে। তিনি কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন