আকাশের দিকে তাকিয়ে খুলনা ওয়াসা!
খুলনা সংবাদদাতা: খুলনা মহানগরীর দক্ষিণ টুটপাড়া বড় খালপাড় এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাড়িতে গভীর নলকূপ রয়েছে। পাশাপাশি ওয়াসার সেবা নেন। কিন্তু রমজানের শুরু থেকেই নলকূপে পানি উঠছে না। পাচ্ছেন না ওয়াসার বিশুদ্ধ পানিও। ফলে বাইরে থেকে পানি এনে প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান একা নন, তার মতো নগরীর অধিকাংশ এলাকার বাসিন্দা সুপেয় পানি সংকটে ভুগছেন। এর অন্যতম কারণ ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া। ফলে তৈরি হয়েছে সংকট। রমজানে এই সংকট আরো তীব্র হয়েছে।
এদিকে, খুলনা ওয়াসা পানির স্তর ২৮ থেকে ৩৫ ফুট নেমে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও সংকট উত্তোরণে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা ছাড়া বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে। ফলে আকাশের দিকে তাকিয়ে বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছে খুলনা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।
সবেমাত্র গরম পড়তে শুরু করলেও এরই মধ্যে শুকিয়ে গেছে নগরীর পুকুর, জলাশয় ও খাল। দীর্ঘসময় নলকূপ চেপে শরীরের ঘাম ঝরলেও উঠছে না পানি। শুধু খুলনা নয়, আশপাশের জেলা-উপজেলাতেও সৃষ্টি হয়েছে একই অবস্থা। কিছু মানুষ নিজ উদ্যোগে এলাকাবাসীর জন্য খাবার পানির ব্যবস্থা করেছেন। তবে সেসব স্থানে পানি নিতে হলে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়।
মধুমতি নদীর পানি শুষ্ক মৌসুমে নোনা হয় জেনেও প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের উপর বিদেশি ঋণের বোঝা বাড়ানোর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ ময়ূর নদ সংরক্ষণে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। ময়ূর নদ ঘিরে মিষ্টি পানির আধার গড়ে তোলার কথাও বলেছেন তারা।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন