হাইকোর্টের লিখিত আদেশ পাওয়ার পূর্বেই উক্ত আদেশের দোহাই দিয়ে মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক: হাইকোর্টে বিচারপতির লিখিত আদেশ দেয়ার আগেই উক্ত আদেশের দোহাই দিয়ে নিম্ন আদালতে মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের এক রিট শুনানিতে এ ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
জানা যায়, গত ৫ই ডিসেম্বর বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রাজারবাগ দরবার শরীফ নিয়ে দুটি রিটের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীঅন্তে একটি রিট আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট শিশির মনির প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, “আদালত আদেশ দিয়েছেন, সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ভূক্তভোগীরা চাইলে রাজারবাগ দববার শরীফের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন”। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। আর সেই সুযোগকে ব্যবহার করে রিট আবেদনকারী আব্দুল কাদের ৮ই ডিসেম্বর হাইকোর্টের আদেশের কথা বলে ঢাকা সিএমএম কোর্টে রাজারাবাগ দরবার শরীফের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় রিট আবেদনের পক্ষভুক্ত ব্যক্তিরা হাইকোর্টের আদেশকে ব্যবহার করে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে গত ১৪ই ডিসেম্বর সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীতে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেন, “ আমি এখনো পর্যন্ত কোন অর্ডারে সাইন করিনি। আপনারা সবাই এত হাইপার হচ্ছেন কেন ? আগে দেখেন আমি কি অর্ডার দেই, তারপর সেটার বিষয়ে কথা বলেন। ”
রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারীর মামলা দায়ের নিয়ে আদালত বলেন, “লিখিত আদেশ পাওয়ার পূর্বেই তাদের এভাবে মামলা করা উচিত হয়নি। ” সবশেষে আদালত বলেন, “আপনারা সবাই খুবই হাইপার, একটু ধৈর্য্য ধরেন, আগে দেখেন আমি কি অর্ডার দেই। ”
রিটে পক্ষভুক্ত আইনজীবিদের লক্ষ্য করে আদালত আরো বলেন, “আপনাদের সবার আবেদনই গ্রহণ করলাম, এ বিষয়ে আরো সময় নিয়ে বিস্তারিত শুনবো আগামী ১৩/০২/২০২২ তারিখে। আর সবাই আল্লাহ আল্লাহ করেন যেন আমরা সবাই হেদায়েত লাভ করতে পারি।” এই বলে শুনানী শেষ হয়।
রিট শুনানিতে আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহম্মদ জহুরুল ইসলাম মুকুল, এডভোকেট মোহাম্মদ আহসান, এ্যাডভোকেট জুলহাস উদ্দিন আহমাদ, ব্যারিস্টার গোলাম মোস্তফা তাজ, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম অ্যাডভোকেট শহীদ কামরুজ্জামান, এডভোকেট বেলায়েত হোসেন ও ব্যারিস্টার মুহম্মদ ওসমান। অপরদিকে রিটকারী আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ্যাভোকেট এমদাদুল হক বশির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বিপুল বাগমার।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন