যানজট-গরমে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক: তেজগাঁও থেকে বলাকা পরিবহনে যাচ্ছিলেন এক যাত্রী। তিনি বলেন, এখান থেকে উত্তরায় দেড় ঘণ্টার কমে কোনো দিন যেতে পারি না। গাড়ি চলে দুই মিনিট। দাঁড়িয়ে থাকে ১৫ মিনিট।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মধ্যবয়সী আফতাব। মহাখালীতে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। বলেন, প্রতিদিন অফিসে যাওয়া-আসার সময় যেন যুদ্ধ করতে হয়। ঠেলাঠেলি করে উঠতে হয় বাসে। আবার এই গরমে দীর্ঘ সময় জ্যামে বসে থাকা।
এদিকে শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতের যানজটও ভোগাচ্ছে রাজধানীবাসীকে। ঢাকা মেট্রোরেলের কাজ চলায় রাস্তা কিছুটা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। কারওয়ান বাজার আড়তে রাস্তায় ট্রাক থামিয়ে সবজি নামানোয় তৈরি হয় তীব্র যানজট। মহাখালী বাস টার্মিনালের বাইরের রাস্তায় রাত হলেই এলোমেলোভাবে রাখা হয় বাস আর সাতরাস্তায় মূল সড়ক থেকে অলিগলি চলে যায় ট্রাকের দখলে।
এগুলোর বাইরে বিমানবন্দর সড়কে যানজটে প্রায়ই ফ্লাইট কিংবা ট্রেন চলে যাওয়ার দুশ্চিন্তা নিয়ে রওনা হতে হয় যাত্রীদের। ১১টার পরে প্রায়ই এ সড়কে দীর্ঘ যানজট পোহাতে হয় মানুষকে। রাতে ট্রাফিক পুলিশের আনাগোনা কম থাকায় রাস্তাজুড়ে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। এতে করে নাইট শিফটে কাজ শেষে ঘরে ফেরা মানুষকে পোহাতে হয় ভোগান্তি। রাজধানীজুড়ে মধ্যরাতের এই যানজট এখন নিত্যদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে।
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে সকাল আটটা থেকে ১০টা এবং বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত যানজট নিয়মিত চিত্র। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া এসব সড়ক ফাঁকা পাওয়ার সুযোগ খুব কম। কিন্তু দিনের মতো এখন রাতেও যানজট দেখা যাচ্ছে মহাখালী বাস টার্মিনালের পাশের সড়কে। মহাখালী বাস টার্মিনালের বাইরে বিশৃঙ্খলভাবে রাখা বাসের কারণে মাঝরাতে যানজট তৈরি হচ্ছে।
একই অবস্থা বিমানবন্দর সড়ক থেকে কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত। ট্রাক এবং দূরপাল্লার বাসের জন্য রাত ১০টা বাজলেই শুরু হয় যানজট। মাঝে মাঝে তীব্র যানজটে ঘণ্টা পার হলেও নড়ে না গাড়ির চাকা। কলাবাগান এলাকাতেও রাতে দূরপাল্লার বাসের কারণে দেখা দেয় যানজট। রাতে রাজধানীর সড়কগুলোতে যানজট হয়ে উঠছে নিত্যদিনের ঘটনা। পুলিশি টহল না থাকায় বিশৃঙ্খলভাবে চলাচল করে ট্রাক। মাঝরাতে রাস্তাকে বাস টার্মিনাল বানিয়ে ফেলেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন