ফি মওকুফের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারী বিধিনিষেধের কবলে দেশের সার্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত। এরমধ্যে ১৭ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এরপরও অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণে সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের বিভিন্ন বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে টানা আড়াই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন হাজারো মানুষ।
বৃহস্পতিবারে বরিশাল নগরীর মহাসড়কের চৌমাথা অবরোধ করে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনায় অনেক শিক্ষার্থীর বাবা-ভাই চাকরি হারিয়েছেন। রোজগার বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর পরিবারে চুলা জ্বলে না। এ অবস্থায় অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণে সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। যা করোনাকালে শিক্ষার্থীদের কাছে বোঝা।
তারা আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফরম পূরণে আড়াই হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে। অথচ করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এ সময়েও ২৮টি খাতে অযৌক্তিক ফি নির্ধারণ করে টাকার বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা এ ফি-কে অযৌক্তিক উল্লেখ করে তা মওকুফের দাবি জানান।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অবরোধকালে কঠোর অবস্থানে ছিল পুলিশ। জনদুর্ভোগ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়। পরবর্তী সময়ে অধ্যক্ষের আশ্বাসের ফলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
হাতেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ মু. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী ফি আদায় করা হচ্ছে।’ এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন তিনি। অধ্যক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দুপুর ১টা ৩৭ মিনিটে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
এর আগে বুধবার (১১ আগস্ট) একই দাবিতে সড়ক অবরোধ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বরিশাল বিএম কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন