প্রশাসনে ৩২ মাসে দেড় লাখ পদ তৈরি -কর্মকর্তাদের ‘স্যার-ম্যাডাম’ বলার নীতি নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২ মাসে প্রশাসনে এক লাখ ৪০ হাজার ৮৬০টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ে ব্যাপকভাবে পদ সৃজন করেছি। পদ সৃজনের কাজটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় করে থাকে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা প্রশাসনে এক লাখ ৪০ হাজার ৮৬০টি পদ সৃজন করেছি। নিয়োগের জন্য ৭ হাজার ৯৪৮টি পদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। চার হাজার ৭২৬টি যানবাহন টিও অ্যান্ড ই-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৪৮ হাজার ৫১০টি পদ বিলোপে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে।’
‘এই সময়ে ৩৭তম বিসিএসের মাধ্যমে এক হাজার ৪৯টি, ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার ৩৪টি ও ৩৯তম বিসিএসের মাধ্যমে ছয় হাজার ৭২৭টিসহ মোট ১০ হাজার ১১০টি পদে ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্যাডার সার্ভিসের পাঁচ হাজার ৭৪৪ জনকে দেশে ও ৪৭৭ জন কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিসিএস প্রশাসন একাডেমির প্রশিক্ষণ মডিউল যুগোপযোগী করেছি।’
ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা ব্যবহার করে দ্রুত কাজ করার জন্য ১৯টি সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হচ্ছে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৮০৩টি আইন ও বিধিবিধানের বিষয়ে বিধিগত মতামত প্রদান করেছি ও ৪৮৪টি নিয়োগবিধি প্রবিধানের সংশোধনও করা হয়েছে এই সময়ের মধ্যে।’
সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার-ম্যাডাম’ বলার নীতি নেই:
সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার-ম্যাডাম’ বলতে হবে এমন কোনো নীতি নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্যার শব্দের বাংলা অর্থ মহোদয়। ম্যাডাম শব্দের অর্থ মহোদয়া। রুলস অব বিজনেসে এটা নেই।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কীভাবে কাজ করতে হবে- সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা ছিল যারা সেবা নিতে আসেন তাদের দিকে তাকাও, তারা তোমার বাবার মতো, ভাইয়ের মতো, আত্মীয়ের মতো। সেবা নিতে আসে জনগণ। তাদের টাকায় তোমাদের বেতন হয়।
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। বিভাগীয় কমিশনার থেকে মাঠ প্রশাসনকে আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি। জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। হাসিমুখের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল, এটা কখনো করা যাবে না।
আইনের মধ্যে থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন