নিরাপত্তা বাহিনীর অনুদান সম্পর্কে তথ্য চায় যুক্তরাষ্ট্র
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য পাওয়া অনুদান কোথায় কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে সেই তথ্য জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য মার্কিন অনুদান পাওয়া অব্যাহত রাখতে এখন থেকে বাংলাদেশকে চুক্তি করতে হবে।
চুক্তি এবং আগের দেওয়া অনুদানের ব্যাখ্যা চেয়ে বাংলাদেশকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে দেশটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসের শুরুতেই নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অনুদান পাওয়া অব্যাহত রাখতে চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা চুক্তির জন্য ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি করার কথা বলেছে। তবে দেশটি থেকে চলতি মাস পযন্ত সময় চাওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে চলতি মাসের শুরুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তির অনুরোধ করেছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছে। সে অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি করতে হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নয়দিন আগে এ সংক্রান্ত চুক্তির বিষয়ে চিঠি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে বিষয়টি সমাধানে কাজ করছে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র লিহে নামক আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে। আইনের সংশোধনীতে অনুদান পাওয়া দেশগুলোর কোন সংস্থা অনুদানের অর্থ পাচ্ছে, সেটি জানার জন্য চুক্তি করার বিষয়ে একটি ধারা সংযোজিত হয়েছে। সেজন্য বাংলাদেশকেও এ চুক্তির আওতায় আসতে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য বলছে, ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১৩ ও ২০১৫ সালে বাংলাদেশকে দুটি হ্যামিলটন কাটার নৌজাহাজ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য ৫০টি মাল্টি রোল আর্মাড পার্সোন্যাল ক্যারিয়ার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি দেশটির কাছ থেকে ২০১২ সালে ১৮ কোটি ডলারের চারটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান পেয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন