‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’সহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতি নিষিদ্ধ করতে হবে : আওয়ামী ওলামা লীগ
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সাস নিউজ : বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামিক দলের উদ্যোগে ৩ দফা দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে নেতৃবৃন্ধ বলেছেন, এদেশে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’সহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, এরশাদবিরোধী নয় বছরের যে আন্দোলন, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ তারিখটি ১৪ ফেব্রুয়ারি। সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রথম আন্দোলন ও আত্মাহুতির দিন ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ১৪ ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির ইতিহাসে “স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস।” ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এরশাদ সরকারের কুখ্যাত শিক্ষামন্ত্রী মজিদ খান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র গণজমায়েতের ডাক দিয়েছিল ১১টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। দু’ বছর আগে কোনো প্রতিরোধ ছাড়া ক্ষমতা দখল করা এরশাদের বিরুদ্ধে সেটাই ছিল প্রথম বড় প্রতিবাদ। প্রতিবাদী সেই বিশাল মিছিলে গুলি চালায় এরশাদের পুলিশ বাহিনী। শান্তিপূর্ণ মিছিল রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। পিচঢালা রাজপথ ভিজে যায় শিক্ষার্থীদের রক্তে। সেদিন এবং পরের দিন যারা নিহত হয়েছিল তাদের নাম জানা যায়- জাফর, জয়নাল, মোজাম্মেল, আইয়ুব, কাঞ্চন। পচে যাওয়ায় বিএনপি আস্তে আস্তে ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ পালন করা ভুলে গেছে। শুধু তাই নয়, এরপর খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শফিক রেহমান ১৯৯৩ সালে তার সাপ্তাহিক যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে এদেশে ভ্যালেণ্টাইনস ডে প্রচলন করেছে। কুখ্যাত শফিক রেহমান খালেদা জিয়া মার্কা পোষাক ও বেহায়া সাজ-গোজ বাজারজাত করে এদেশের তরুন-তরুণীদের অশ্লীলতায় নিমজ্জিত করছে। খালেদা জিয়া নিজে পাতলা পোশাক, বেহায়া সাজ-গোজে অভ্যস্থ হওয়ায় তার উপদেষ্টাও তার অনুকরণে এদেশে বেহায়াপনা বাজারজাত করেছে। অথচ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি নিজে শালীন পোশাক পরেন, ফুলহাতা ব্লাউজ পরেন, মাথায় ঘোমটা রাখেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন, প্রতিদিন কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করেন, নফল রোযাও রাখেন। এমনকি তিনি নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামায পরেন। ফলে তার সরকার এদেশে পর্ণগ্রাফীর বিরুদ্ধে আইন করেছে। পর্নগ্রাফী বহন, বাজারজাত নিষিদ্ধ করেছে। ঢাকা মহানগরের সব অশ্লীল বিলবোর্ড অপসারণ করেছে।
বক্তারা বলেন, খালেদার উপদেষ্টা, নাস্তিক শফিক রেহমান এদেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে তথা বেহায়াপনা দিবস প্রচলন করায় দেশে অশ্লীলতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ দিবসে প্রকাশ্যে বেহায়াপনা, জড়িয়ে ধরা, সম্ভ্রমহরণে মত্ত হওয়া, মদ খাওয়া, নাচানাচি করা, হোটেলগুলোতে ডিজে পার্টি করা, নিজেদের বিবস্ত্রভাবে উপস্থাপন করা, তরুণ-তরুণীদের পিঠ, বাহু, হস্তদ্বয়ে উল্কি আঁকা ইত্যাদি হাজারো অশ্লীলতার মাধ্যমে আবহমানকালের বাঙ্গালীর পারিবারিক-সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, সমাজে অবাধ অশ্লীলতার ব্যাপকতা আরো ছড়িয়ে দিতে দেশ বিরোধী কুচক্রীড়া আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারী সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে “পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার” অনুষ্টান করার ঘোষণা দিয়েছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বক্তারা বলেন, আমরা আগামীকাল যে কোনো মূল্যে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার অনুষ্ঠান প্রতিহত করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার মাঠের পবিত্রতা রক্ষা করবো। ইনশাআল্লাহ!
বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে সেই ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র রচনায় বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায়। আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত হওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে একুশে ফেব্রুয়ারি সত্যিকার মর্যাদা পায় এবং একুশে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগেই ২১শে ফেব্রুয়ারী সারাবিশ্বের জন্য আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তবুও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেনি নোবেল কমিটি। অথচ এদেশের হত-দরিদ্র মানুষের রক্তচোষা কুখ্যাত সুদখোর ইউনুসকে নোবেল পুরস্কার দেয়া সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। আমরা অবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার আহবান জানাই।
বক্তারা বলেন, আজকে ছাত্র-যুব এমনকি চিকিৎসকসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কোনো লোকও মাদক ও দুর্নীতিতে আষ্টে পৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে। পরকীয়ায় জড়িত হয়ে আজ নিজ সন্তানকে হত্যা করছে। দেশে মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে দেশের জনগণ বিশেষত আটানব্বইভাগ জনগোষ্ঠী তাদের দ্বীন ইসলামের আদর্শ জানেনা। তাদেরকে ইসলাম শেখানো হয়না। তাদের পাঠ্যপুস্তকে ইসলাম নেই। খেলোয়ারদের, নায়ক-নায়িকাদের, সাহিত্যিকদের বিশেষ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয়। কিন্তু ওলীআল্লাহ, দরবেশ, পীর সাহেব, মুছল্লী, মুত্তাকীদের কোনো মূল্যায়ন করা হয়না। ধর্মপ্রাণদের উৎসাহ দেয়া হয়না। নতুন প্রজন্ম আজ হালাল হারাম জানেনা। কবর, হাশর-নশর, মিজান, ক্বিয়ামত, বেহেশত, দোযখ জানেনা। দেশের আটানব্বইভাগ মুসলমানের মধ্যে ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধ উজ্জীবনের জন্য কোনো সরকারী উদ্যোগ নেই। এরকারণেই নাস্তিক্যবাদ মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। পাশাপাশি জামাতী, মওদুদী, হেফাযতী ও সন্ত্রাসীরা সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। একদিকে ধর্মব্যবসায়ীদের খপ্পড় থেকে রক্ষা, অপরদিকে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে ইসলাম শিক্ষা ও মূল্যবোধ সঞ্চারে তথা রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় ‘কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাশ হবেনা’-এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ বাস্তবায়নের অন্যতম চক্রান্তকারী মাহফুজ আনাম স্বীকার করেছে এতে সে জড়িত।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ১১ মাস জেলের ভাত খাইয়েছে এই বিদেশী দালাল। সামরিক সরকারকে উস্কানী দিয়ে এ কাজ করিয়েছে। সামরিক সরকারকে উস্কানীদাতা হিসেবে সে একজন রাষ্ট্রদ্রোহী। সুতরাং রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলায় অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি এই মিথ্যা চক্রান্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ১১ মাস জেল খাটানোর কারণে তাকে ১১ বছর জেলে পুরে রাখতে হবে। তাছাড়া একজন সম্পাদক হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার কারনে ডেইলী ষ্টার পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করতে হবে। সাথে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তনয় ও তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্ঠা সজিব ওয়াজেদ জয়কে এই বিদেশী দালালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে আমরা আহবান জানাই।
বক্তারা বলেন, কাদের মোল্লা, মইজ্জ্যা রাজাকার, কামারুজ্জামান, সাকার মতো কুখ্যাত রাজাকারদের ফাঁসি দেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষনতা এবং সাহসের কারণে সম্ভব হয়েছে। একইভাবে বাংলার ইহুদী সাঈদী, মইত্যা রাজাকার, কাশেম রাজাকারসহ বাকী সব রাজাকারদের জন্য সময় দেয়া সম্পূর্ণ নিস্প্রয়োজন। অতিদ্রুত এদেরকেও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিতে হবে। এরা যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন এদেশ রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী কলঙ্ক থেকে মুক্ত হবেনা। তাই অবিলম্বে এদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। সাথে সাথে তাদের মদদদাতা পাকিস্থান হাই কমিশনকে বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধে কড়া সতর্কবার্তা দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী ওলামা লীগের সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, মাওলানা নূর মুহম্মদ আহাদ আলী সরকার। সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশনের সভাপতি শায়েখ আলহাজ্জ মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশনের সভাপতি আলহাজ্জ লায়ন মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর ছিদ্দীক্ব, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ দপ্তর সম্পাদক মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি-সহ সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি , ডা. মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সুবহান, অধ্যাপক কাজী আলহাজ্জ মাওলানা নোমান চৌধুরী, হাফিজ মাওলানা মুহম্মদ খালেদ হাসান, হাফিজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল বারিক, মাও: ক্বারী আসাদুজ্জামান ছুন্নী জালালী আল কাদরী-প্রিন্সিপাল কোরআন-সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসা, মাওলানা মুহম্মদ জাকির, মাওলানা মুহম্মদ হাবীবুর রহমান শাহ জালালী আল কাদরী আল মুজাহিদী গাজীপুরি, ডা. এম সাইফুদ্দীন মিয়াজি, অধ্যাক্ষ মাওলানা মুহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, আল্লামা মুফতী মাওলানা মুহম্মদ মাঈনুদ্দীন গোপালগঞ্জী, আল্লামা মুহম্মদ আব্দুল আহাদ সাভারি, মাওলানা মুহম্মদ নূরুদ্দীন (মোহাদ্দেস), অধ্যক্ষ মাওলানা ক্বারী আবুল বাশার, (চন্দ্রপুর মাদরাসা), মাওলানা রুহুল আমীন নূরী, আল্লামা আলহাজ্জ খোরশেদ আলম রেজভী, মুহম্মদ আজিজুল হাসান ইমরান-যুগ্ম সম্পাদক সম্মিলিত ইসলামী পরিষদ, মাওলানা শহিদুল ইসলাম-যুগ্ম সম্পাদক সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, মুফতি মাও. মো. মনোয়ার হুসাইন আনোয়ার-সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ, আল্লামা মুহম্মদ হাবীবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ আব্দুল গফুর ব্যাপারী, টাঙ্গাইল। মো: আব্দুল খালেক, ক্বারী মুহাম্মদ আখতার হুসাইন খান শরীয়তপুরী, শেখ আসাদুজ্জামান, মাওলানা মুহিউদ্দিন গালিবী, রায়েরবাগ মাদরাসা, হাফেজ মাওলানা আব্দুল বারী, মুহম্মদ শুক্কুর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা দানু মিয়া, মাওলানা মুহম্মদ মোতাহার হুসাইন, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল হালীম সিরাজী, ক্বারী মাওলানা মুহম্মদ লোকমান হুসাইন, মো: হাবীব বোখারী, আলহাজ্ব মাও. মুফতি ফেরদৌস, আল্লামা মাও. মো. শোয়েব শেখ, মাও. মো: মোখতারুজ্জামান আশরাফী, ক্বারী বেলাল হুসাইন, মাওলানা মুহম্মদ তাজুল ইসলাম বরনগরী, মাওঃ মো: আব্দুল কাদের, মাওঃ মোঃ আবু তাহের, মাওঃ মো: রফিকুল ইসলাম সিতাব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ চেয়ারম্যান- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার। মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের এক বিরাট মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে শহীদ বঙ্গবন্ধু রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রূহের মাগফিরাত কামনা করে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হায়াতে তৈয়বার জন্য দোয়া মোনাজাত করেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন