নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযানে ৩ জনকে কারাদ-, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৫টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল (সোমবার) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪টি অঞ্চলে দ্বিতীয় দিনের মত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে অঞ্চল-১ এর আওতাধীন শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সিলভানা রেস্টুরেন্টের মালিক মোস্তফা কামালকে ২৭৩ দ-বিধিতে ৩ দিনের সশ্রম কারাদ-, মৌমিতা রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বিসমিল্লাহ হোটেলের মালিক আলতাফ হোসেনকে ২৭৩ দ-বিধিতে ৫ দিন বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়। অঞ্চল-২ এর আওতায় পল্টন নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকায় পরিচালিত অভিযানে নিউ ঢাকা কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক মুজিবর রহমানকে ১৫ দিনের কারাদ-, ডায়মন্ড রেস্টুরেন্টকে ৪১ধারা অনুযায়ী এক লাখ টাকা, কড়াই গোস্ত রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা, দস্তরখানা রেস্টুরেন্টকে একলাখ টাকা এবং কস্তূরী রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ এলাকার ডেলিশাস ফুডকে ১০ হাজার, হোটেল রোজ হ্যাভেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মোহন চাঁদ, আনন্দ, মিঠাই ও হরিপদ মিষ্টান্ন ভান্ডার এবং হক বেকারীকে সতর্ক করা হয়। অঞ্চল-৪ এর ইসলামপুর রোড এলাকায় অমূল্য মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ৪০ হাজার এবং অন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত (রোববার) থেকে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সপ্তাহব্যাপী ভেজালবিরোধী স্পেশাল ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে ডিএসসিসি।
ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন গতকাল সপ্তাহব্যাপী খাদ্যে ভেজালবিরোধী স্পেশাল ক্র্যাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধনকালে বলেন, খাদ্যে ভেজালবিরোধী আমাদের অভিযান অব্যাহত। আমরা বিভিন্ন সময় জরিমানা করলেও ভেজাল বন্ধ করতে সক্ষম হইনি। তাই আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে খাদ্যে ভেজাল প্রমাণিত বা প্রতীয়মান হলে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো, সেটা প্রতীকী হলেও করবো। এখন কোনো প্রতিষ্ঠানের খাবারে ভেজাল প্রমাণিত হলে তাকে জেলে পাঠানো হবে। সেটা অল্প সময়ের জন্য হলেও তাকে জেলে যেতে হবে। সেই সঙ্গে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
(0) মন্তব্য
কোন মন্তব্য নেই!
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন