ভাসানচরে যেতে রাজি রোহিঙ্গারা
নিউজ ডেস্ক : উন্নত জীবনের আশায় কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছে কিছু রোহিঙ্গা৷ কক্সবাজারের ঘিঞ্জি শরণার্থী শিবিরে চাপ কমাতে সরকার এক লাখ শরণার্থীর জন্য নতুন এই চরটিতে আবাসস্থল তৈরি করেছে৷
স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছেন – এমন সাড়ে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবারের তালিকা হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা৷ আগামী মাস থেকে তাদের সেখানে স্থানান্তর করা শুরু হতে পারে৷
টেকনাফের নয়াপাড়া ও লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের কর্মকর্তা আবদুল হান্নান এই বিষয়ে বলেন, ‘‘ভাসানচরে যাওয়ার ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের বেশ সম্মতি পাওয়া যাচ্ছে৷ আমার শিবির থেকে অর্ধশতাধিক পরিবার আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷ ভাসানচরে কী কী সুবিধা আছে তা তাদের জানাচ্ছি৷ এর আগে বৈঠক করে মাঝিদের আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছি৷ এখন মাঝিরাও সাধারণ রোহিঙ্গাদের বোঝাচ্ছে৷৷”
তিনি আরও বলেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে সরকার আগে থেকেই কাজ করছিল৷ কেউ স্বেচ্ছায় রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এগোনো যায়নি৷ যেহেতু এবার রোহিঙ্গারা নিজে থেকেই সেখানে যেতে ইচ্ছে প্রকাশ করছে, তাই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি৷”
রোহিঙ্গা মোহাম্মদ সৈয়দ আমিন বলেন, ”ভাসানচরে বড় বড় পুকুর রয়েছে সেখানে মাছ চাষ করতে পারবো৷ পাশাপাশি হালচাষ করার সুযোগ রয়েছে বলে শুনেছি৷ তাছাড়া এখানকার ঘরগুলো খুব ছোট৷ আটজন পরিবারের সদস্যদের গাদাগাদিভাবে থাকতে সমস্যা হচ্ছে৷ ভিডিওতে দেখেছি, ভাসানচরের ঘরগুলো অনেক বড় বড়, সেখানে গেলে ঘুমাতে আর সমস্যা হবে না৷ তাই আমরা স্বেচ্ছায় সেখানে চলে যাচ্ছি৷”
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন