নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে বেআইনিভাবে বোতলজাত খাওয়ার পানির মান নির্ণয় করে আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পক্ষ থেকে সময় আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) বিচারক শেখ হাসান আরিফ ও বিচারক রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জে আর খান রবিন, সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী শাম্মী আক্তার। অন্যদিকে বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
পরে জে আর খান রবিন বলেন, বাজারের বোতলজাত পানির মান পরীক্ষা করে আজ হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে সময় চাওয়ায় আদালত আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিলের সময় মঞ্জুর করেছে। এর আগে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর বাজারে বেআইনিভাবে বোতলজাত খাওয়ার পানির সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিএসটিআই এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি আদালতের আদেশের পর বিএসটিআই কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
এছাড়াও প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সরকারের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চায় আদালত। খাদ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারক শেখ হাসান আরিফ ও বিচারক রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই আদেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ওই সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে একই বছরের ২৭ মে আইনজীবী শাম্মী আক্তার জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেয়।
(0) মন্তব্য
কোন মন্তব্য নেই!
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন